খিলা ইউনিয়নে জনসেবায় আত্মনিয়োগ করতে চান সেলিম কাদের চৌধুরী

কুমিল্লা চট্টগ্রাম পরিবেশ রাজনীতি সারাদেশ
শেয়ার করুন...

লাকসাম প্রতিনিধি :
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার ৮নং খিলা ইউনিয়নবাসীর সেবায় আত্মনিয়োগ করতে চান উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক মোঃ সেলিম কাদের চৌধুরী। তিনি ওই ইউনিয়নের দিশাবন্দ গ্রামের মৃত. বীরমুক্তিযোদ্ধা ও মনোহরগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল হামিদের বড় ছেলে। তার মা হোসনেয়ারা বেগম একজন রত্নগর্ভা। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সমর্থন পেলে তিনি চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
আওয়ামী পরিবারে বেড়ে ওঠা মোঃ সেলিম কাদের চৌধুরী শৈশব থেকে আওয়ামী পন্থী। ৩ ভাই ও ৪ বোনের সংসারে তিনি সবার বড়। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী রাজনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তিনি লাকসাম নওয়াব ফয়জুন্নেছা কলেজ ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের প্রথম সারির নেতা ছিলেন। তৎকালীন মেধাবী ছাত্রনেতা মোঃ সেলিম কাদের চৌধুরী বর্তমানে মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক ও বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন মনোহরগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন।
রাজনীতিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি সামাজিক কর্মকান্ডেও অগ্রণী ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন মোঃ সেলিম কাদের চৌধুরী। তিনি বিভিন্ন উৎসব-আয়োজন এবং দুর্যোগকালে সাধ্যানুযায়ী নিজ এলাকার মানুষের পাশে থাকেন। লোকচক্ষুর অন্তরালে বিভিন্ন হতদরিদ্র পরিবারকে সহযোগিতা প্রদান করেন। কর্মজীবনে গত ২ যুগ ধরে তিনি বীমা কোম্পানীতে চাকরি করছেন।
প্রতিবেদকের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সমর্থন পেলে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আগ্রহ প্রকাশ করে সেলিম কাদের চৌধুরী বলেন, ‘আমি আওয়ামী পরিবারে বেড়ে উঠেছি। শৈশব থেকেই মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করার স্বপ্ন বুকে লালন করেছি। এযাবৎ আমি আমার সামর্থ্য মোতাবেক নিজ এলাকার মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আমি মনে করি, জনপ্রতিনিধিত্ব হচ্ছে মানুষের সেবা করা ও মানুষকে ভালোবাসার অন্যতম মাধ্যম। রাজনীতি করতে গিয়ে দেশ বিরোধীদের হাতে অনেক লাঞ্চনার স্বীকার হয়েছি। রাজনীতির স্বার্থে নিজেকে বিসর্জন দিয়েছি; বিনিময়ে কিছু চাইনি। বর্তমানেও স্বার্থ নয়, এলাকার উন্নয়নকে আরো ত্বরান্বিত করতে আমি আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সমর্থন পেলে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমার অতীত-বর্তমান, পারিবারিক বৃত্তান্ত এবং জনমত বিবেচনা করে আমাদের প্রিয়নেতা, লাকসাম-মনোহরগঞ্জের অভূতপূর্ব উন্নয়নের মহানায়ক, মাননীয় এলজিআরডি মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম মহোদয় আমাকে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে খিলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দেবেন। আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের দিক-নির্দেশনা মোতাবেক আমার এলাকায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা, বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়, সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধসহ এলাকায় সকল প্রকার অসামাজিক কার্যকলাপের মূলোৎপাটন এবং এলাকাকে সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত করতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবো ইনশাআল্লাহ।’

image_pdfimage_print

শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.