অনলাইন ডেস্কঃ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রীর বক্তব্যকে সরকারের প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ বলছে বিএনপি। তারা বলছে, খালেদা জিয়া কোনো অপরাধ করেননি। তাঁর ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না।
আজ বৃহস্পতিবার বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও দপ্তরের চলতি দায়িত্বে থাকা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
গতকাল বুধবার সংসদে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়া দোষ স্বীকার করে ক্ষমা না চাইলে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ নেই। এ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি বলেছে, ‘এগুলো সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ এবং রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রিত ও কলুষিত করার ব্যর্থ চেষ্টা ছাড়া কিছুই নয়। যিনি কোনো অপরাধই করেননি, তাঁর ক্ষমা চাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। আইনমন্ত্রীর এই বক্তব্যের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী সরকারের হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের প্রতিফলন ঘটেছে, যা ভ্রষ্টাচার ছাড়া কিছুই নয়।’
খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দূর করার আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
বিএনপি বলেছে, করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরুতে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার শর্তসাপেক্ষে রায় স্থগিত করে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিলেও কার্যত তিনি গৃহবন্দী। শর্ত সংশোধন কিংবা শিথিল করা যাবে না—এই বক্তব্য সঠিক নয় উল্লেখ করে বিএনপি জানিয়েছে, সরকার যেকোনো শর্ত পরিবর্তনের ক্ষমতা রাখে। তা একেবারেই সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।
খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে বিএনপি জানায়, খালেদা জিয়ার করোনা–পরবর্তী জটিলতা নিরসন হলেও বর্তমানে তিনি লিভার, কিডনি ও হার্টের বিভিন্ন জটিলতায় অসুস্থ অবস্থায় নিজ বাসায় চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকেরা তাঁকে আরও উন্নত সেন্টারে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন, যা বাংলাদেশে সম্ভব নয়।
বিএনপি বলেছে, সরকার খালেদা জিয়াকে ভয় পায়। তাই অন্যায়ভাবে আটকে রেখে তাঁকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে এবং তাঁর উন্নত চিকিৎসার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তাঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে চায়। খালেদা জিয়ার কিছু হলে তার দায় সরকারকে বহন করতে হবে। সূত্রঃ প্রথম আলো