কয়েক মাসের মধ্যেই মিলবে ২১ কোটি টিকা

করোনা আপডেট জাতীয় পরিবেশ সারাদেশ স্বাস্থ্য
শেয়ার করুন...

টিকা নিয়ে বড় ধরনের সুখবর দিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ২১ কোটি টিকার ব্যবস্থা হয়ে যাবে। এর মাধ্যমে দেশের প্রায় ৮০ ভাগ লোককে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হবে। এদিকে, গতকাল শনিবার জাপান থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুই লাখ ৪৫ হাজার টিকা এসেছে।

গতকাল শনিবার বেসরকারি মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সরকারের হাতে এক কোটির বেশি করোনার টিকা রয়েছে। আগামী মাসের মধ্যে আরও দুই কোটি টিকা আসবে। এভাবে চীন থেকে তিন কোটি, রাশিয়া থেকে সাত কোটি, জনসন অ্যান্ড জনসনের সাত কোটি, অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটিসহ আগামী বছরের শুরুর মধ্যেই সরকারের হাতে প্রায় ২১ কোটি টিকা চলে আসবে।

এদিকে জাপানের টিকা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, কভিড টিকা নিয়ে সমস্যা কেটে যাচ্ছে। বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা পাচ্ছে। টিকাপ্রাপ্তির বিষয়টি প্রক্রিয়ার মধ্যে নিয়ে আসা হয়েছে। আগামীতে টিকার সমস্যা হবে না। তিনি বলেন, স্থানীয়ভাবে টিকা তৈরি করতে হবে, এটার বিকল্প নেই। সে জন্য প্রস্তাব পাওয়া গেছে। খুব শিগগির যৌথ উৎপাদনে যাবে বাংলাদেশ।

টিকা সরবরাহের আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্সের আওতায় জাপান থেকে দুই লাখ ৪৫ হাজার ২০০ ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা এসেছে। গতকাল ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের হাতে টিকাগুলো হস্তান্তর করেন বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি।

এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সভাপতি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা উপস্থিত ছিলেন। জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে আরও প্রায় ২৮ লাখ টিকা জাপান থেকে বাংলাদেশে আসবে।

জাপান কোভ্যাক্সের আওতায় ১৫টি দেশের জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার এক কোটি ১০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তালিকা অনুযায়ী অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩০ লাখ ৫০ হাজার টিকা পাবে বাংলাদেশ। এরই প্রথম চালান এলো গতকাল।

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ডের তিন কোটি ডোজ কেনার জন্য গত বছরের শেষ দিকে চুক্তি করেছিল বাংলাদেশ। এই টিকার মাধ্যমে গত ৭ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয় দেশে। দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ পাঠানোর পর ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় সেরামের টিকা সরবরাহ বন্ধ হয়। এতে দেশে টিকার সংকট দেখা দেয়। কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ নেওয়া ৫৮ লাখ ২০ হাজার জনের মধ্যে ১৫ লাখ ২১ হাজার ৯৪৭ জন ব্যক্তি দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারেনি। জাপান থেকে উপহার পাওয়া টিকায় দ্বিতীয় ডোজের এই সংকট দূর হবে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আগামী শুক্রবার জাপান থেকে দ্বিতীয় চালানে পাঁচ লাখের মতো টিকা আসবে। রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি টিকা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বলেন, এ মুহূর্তে বাংলাদেশে অনেকেই এই অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার জন্য অপেক্ষা করছেন। করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে টিকাদান খুব জরুরি এবং গুরুত্বপূর্ণ।


শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *