মোহাম্মদ কামাল উদ্দিনঃ-ভারত, কাশ্মীর, মিয়ানমার, ফিলিস্তিন, সিরিয়াসহ বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের নিরাপত্তা ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর শান্তি, মুক্তি, উন্নতি ও দেশবাসীর কল্যাণ কামনা করে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বরিশালে চরমোনাই দরবার শরীফের তিন দিনব্যাপী বার্ষিক মাহফিল।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চরমোনাইর পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাঊল করীম আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন।
মোনাজাত শুরু হওয়ার পূর্ব ঘোষণা থাকায় ভোর থেকেই চরমেনাইমুখী মানুষের ঢল নামে। আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে দূরদূরান্ত ও নগরীর এবং আশপাশের জেলা থেকে আসা মানুষের স্রোত যেতে থাকে মাহফিল মাঠের দিকে। সকাল সাড়ে ৮টার আগে চরমোনাই দরবার শরীফসহ আশপাশের এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
১৫ মিনিট স্থায়ী মোনাজাতে মুসল্লির কান্না আর আমিন আমিন ধ্বনিতে মাহফিল এলাকায় এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের অবতারণা হয়। মাহফিলের ৬টি মাঠ ও আশপাশের বাড়ির বাগান, আঙিনা, নদীর পাড়সহ বিস্তৃর্ণ এলাকা জুড়ে প্রায় কোটি মুসল্লি মোনাজাতে অংশ নেন।
মোনাজাতে অংশ নেন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। জীবনের সকল গুনাহর জন্য মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে মুসল্লিরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাদের আমিন-আমিন ধ্বনিতে এক আধ্যাত্মিক পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
মাহফিল পরিচালনা কমিটির নির্বাহী পরিচালক মুফতি এছাহাক মো. আবুল খায়ের বলেন, প্রায় কোটি মুসল্লিদের আধ্যাত্মিক এ মিলনমেলা আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়েছে। মাহফিলে আগতদের মধ্যে ১৪ জন মুসল্লি ইন্তেকাল করেন। তার মধ্যে মাহফিলে আসার পথে সিরাজগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রলার দুর্ঘটনায় ৪ জন এবং ১০ জন ষাটোর্ধ মুসল্লি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। জানাজা শেষে তাদের মরদেহ নিজ নিজ এলাকায় পাঠানো হয়েছে।