রাহাদ সুমন, বানারীপাড়া (বরিশাল) থেকে
কেন্দ্রীয় নেতা এস.সরফুদ্দিন আহম্মেদ সান্টুসহ বানারীপাড়ার ৭ শীর্ষ নেতা বরিশাল জেলা (দঃ) বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
দলীয় সুত্রে জানা গেছে, বুধবার (৬ জুলাই) রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীরের বরাবরে তারা ই-মেইলে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।
বানারীপাড়া প্রেসক্লাবকে যার অনুলিপি দেওয়া হয়েছে। তাতে পদত্যাগের কারন হিসেবে উল্লেখ রয়েছে বরিশাল জেলা (দঃ) বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান নান্টুর স্বেচ্ছাচারিতা, অসাংগঠনিক কার্যক্রম ও খামখেয়ালীপনার কারনে তারা জেলা বিএনপির সদস্য পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পদত্যাগী নেতারা হলেন, বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. শাহ আলম মিঞা, সাধারণ সম্পাদক মো. রিয়াজ আহমেদ মৃধা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাহমুদ মাহবুব মাষ্টার, পৌর শাখা বিএনপির সভাপতি আহসান কবির নান্না হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস সালাম ও বানারীপাড়া পৌরসভার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ডেইজি বেগম।
এর আগে বুধবার (৬ জুলাই) দুপুরে সিঙ্গাপুর থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা শাখার সভাপতি এস সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু পদত্যাগের ঘোষণা দেন। বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তিনি মুঠোফোনে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে বরিশাল জেলা (দঃ) বিএনপির আহবায়কের বিরুদ্ধে হঠাৎ কাউকে কিছু না জানিয়ে উজিরপুর উপজেলা ও বানারীপাড়া পৌর শাখা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করে দেয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে জেলা বিএনপির সদস্য পদ থেকে তিনি পদত্যাগের এ ঘোষনা দেন। এদিকে মুঠোফোন (০১৭১২৭৯৬৫৮০) ফরওয়ার্ড করে রাখায় এ প্রসঙ্গে বরিশাল জেলা বিএনপির (দক্ষিণ) আহবায়ক অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান নান্টুর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। অপরদিকে হঠাৎ করে জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি থেকে কেন্দ্রীয় নেতা এস.সরফুদ্দিন আহম্মেদ সান্টুসহ বানারীপাড়ার ৭ শীর্ষ বিএনপি নেতার পদত্যাগের ঘটনায় দলে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য দানবীরখ্যাত এস.সরফুদ্দিন আহম্মেদ সান্টু ২০০৮ ও ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী ছিলেন।