কুমিল্লার স্থানীয় সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. রাজু (৩৪) র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ভারতীয় সীমান্তবর্তী কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের গোলাবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজন মো. রাজুর পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব-১১ ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-২ কুমিল্লার অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন বলেন, শনিবার রাতে র্যাবের সদস্যরা চোরাচালানবিরোধী অভিযান চালাতে গোলাবাড়ি এলাকায় যান। তখন র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। একই সঙ্গে হামলা চালানো হয়। এ সময় র্যাবও আত্মরক্ষার্থে ও সরকারি সম্পদ রক্ষায় পাল্টা গুলি করে।
মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন বলেন, ওই বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থলে এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় সেখান থেকে একটি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করা হয়। দ্রুত তাঁকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় র্যাবের এক সদস্য আহত হয়েছেন।
মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন আরও বলেন, মৃত ঘোষণা করার পর জানা গেল ওই ব্যক্তির নাম মো. রাজু। তাঁর বাড়ি কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের সাদেক মিয়ার ছেলে। তবে পরিবার নিয়ে তিনি ময়নামতি সাহেববাজার এলাকার ১৫ নম্বর গেটে থাকতেন। তাঁর সেনানিবাস এলাকায় মোটরসাইকেলের ব্যবসা আছে। এর আড়ালে তিনি মাদক কারবার ও সীমান্ত দিয়ে কাপড় আনা–নেওয়ার ব্যবসা করতেন।
উল্লেখ্য গত বুধবার রাতে সাংবাদিক মহিউদ্দিনকে ভারতীয় সীমান্তবর্তী কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের শংকুচাইলসংলগ্ন হায়দারাবাদনগর এলাকায় গুলি করে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় এ পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মহিউদ্দিনকে মাদক কারবারিরা তথ্য দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে হত্যা করে। মহিউদ্দিন বুড়িচং উপজেলার কুমিল্লার ডাক পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক ছিলেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাদকের বিরুদ্ধে লেখালেখি করতেন।