কুমিল্লা সংবাদদাতাঃ
স্থানীয় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সংবাদ প্রকাশের জেরে কুমিল্লার বুড়িচংয়ে যুগান্তর প্রতিনিধি ইকবাল হোসেন সুমনকে হত্যা করতে তার ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে আদনান হায়দার বাহিনীর সন্ত্রসীরা।
আহত সুমন জানান, মঙ্গলবার রাত ১০টায় বুড়িচংয়ের চানসার এলাকা থেকে বাসায় ফেরার পথে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে ময়নামতি তুতবাগান এলাকায় ৪টি মোটরসাইকেল যোগে এসে আদনান হায়দার বাহিনীর সশস্ত্র সন্ত্রসীরা সুমনের ওপর এ হামলা চালায়।
এসময় সন্ত্রাসীরা সুমনকে তার মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে সন্ত্রাসী আদনানের নেতৃত্বে মনির হোসেন, মফিজুল ইসলাম, জজু মিয়া, সবুজ ও মহিউদ্দিনসহ তার ৭-৮ জন সহযোগী কিল-ঘুষি ও লাঠি দিয়ে পিঠিয়ে গুরুতর আহত করে। একপর্যায়ে ওই সাংবাদিক মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার দুই পায়ে আঘাত করে৷ পরে তাকে হত্যা করতে সন্ত্রাসীরা তুতবাগান পাহাড়ের ওপর নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানালে গুলি করে হত্যা করবে বলে হুমকি দেয়।
পরে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে ময়নামতি ক্যান্টমেন্ট মার্কেট এলাকায় নিয়ে আসেন। এ সময় বিষয়টি কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ জানতে পারলে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসিকে খোঁজ নিতে নির্দেশ দেন। ওসি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এসে সাংবাদিক সুমনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
পুলিশ সুপার কুমিল্লা বলেন, বিষয়টি আমি গুরুত্বসহকারে দেখছি, সন্ত্রাসী আদনান হায়দারকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
উল্লেখ্য, কিছু দিন আগে সন্ত্রাসী আদনান হায়দার বাহিনী ময়নামতি ফরিজপুর ফারজানা ট্রান্সপোর্টে সন্ত্রাসী হামলা ও ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এই সংবাদটি যুগান্তরে প্রকাশিত হওয়ার জের ধরে সুমনের ওপর হামলা চালানো হয়।
কুমিল্লা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুরুতর আহত সাংবাদিক ইকবাল হোসেন সুমন বলেন, আমি পুলিশ সুপারের কাছে সন্ত্রাসী আদনান হায়দারকে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
সাংবাদিক ইকবাল হোসেন সুমনের ওপর এই বর্বর হামলার নিন্দা জানিয়ে বিএমএসএফ নেতৃবৃন্দ সহ জেলায় কর্মরত সাংবাদিক ও বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনগুলো সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।