নিজস্ব প্রতিবেদক; কুমিল্লায় পরিবহন চাঁদাবাজ চক্রের ১১জন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব সদস্যরা। এ সময় চাঁদা আদায়ের রশিদ ও নগদ ১৯ হাজার ১৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (১৯ জুলাই) দুপুরে পৃথক তিনটি অভিযানে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লার কোম্পানি অধিনায়ক মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব।
তিনি জানান, সোমবার দুপুরে জেলার সদর দক্ষিণ থানার জাঙ্গালিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে পরিবহনের চাঁদাবাজ চক্রের ছয়জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সদর দক্ষিণ থানার শাকতলা গ্রামের রুকন মিয়ার ছেলে স্বপন মিয়া, একই গ্রামের মৃত ওহিদ মিয়ার ছেলে মো.আকাশ, চাঁদপুরের কচুয়া থানার আসাদপুর গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে জিহান হোসেন, নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ থানার নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত মেহের আলীর ছেলে আব্দুল আলী, কুমিল্লা জেলার কোতয়ালি থানার গোবিন্দপুর গ্রামের পরদেশ আহম্মেদ ভুঁইয়ার ছেলে তৌফিকুর রহমান মারুফ ওরফে আবির ও সদর দক্ষিণ থানার নিশ্চিন্তপুর বাগমারা গ্রামের মোবারকের ছেলে আলমগীর হোসেন। এ সময়ে তাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের ৬টি (নিজেদের তৈরি) রশিদ বইসহ নগদ ৬ হাজার ৫৯০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, একই সময়ে কুমিল্লা কোতয়ালি থানার শাসনগাছা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৃথক আরেকটি অভিযান পরিচালনা করে ওই চক্রের আরও দুইজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করতে করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, শাসনগাছা মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল বারেকের ছেলে মো.রুবেল ও একই গ্রামের শাহ আলমের ছেলে মোহাম্মদ রনি। তাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের ২টি রশিদ বইসহ নগদ ৪ হাজার ৩২০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া জেলার বুড়িচং থানার ভরসার বাজার এলাকায় পৃথক আরেকটি অভিযান পরিচালনা করে চক্রের তিনজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন, বুড়িচং থানার ভবানীপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জুলহাস মিয়ার ছেলে অহিদ মিয়া, ইছাপুর গ্রামের মৃত হাজী আসমত আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন ও একই গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে আমির হোসেন। তাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের তিনটি (নিজেদের বানানো) রশিদ বইসহ নগদ ৮ হাজার ২৬০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায় যে, তারা দীর্ঘদিন যাবত পরিবহন চালকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের নিকট থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে আসছিল।