কুমিল্লায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৪৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২৮দশমিক ৩ শতাংশ।
এ সময় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৬ জন।জেলা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন বিকেল সাড়ে ৫ টা ৩০ মিনিট দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী,৭ আগস্ট বিকেল থেকে ৮ আগস্ট শনিবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৯১৯ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
শনাক্তদের মধ্যে ১১৯ জনই কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা।
বাকিদের মধ্যে আদর্শ সদরের ৮, সদর দক্ষিণের ২৪, বুড়িচংয়ের ৩৮, চান্দিনায় ১৪, চৌদ্দগ্রামের ৩৩, দেবিদ্বারের ৩০, দাউদকান্দির ৬৯, লাকসামের ১৬, লালমাইয়ের ৯, নাঙ্গলকোটের ৪২, বরুড়ার ৪২,মনোহরগঞ্জের ২৩, মেঘনায় ২০, হোমনায় ৪৩, তিতাস১, ব্রাক্ষণপাড়া ১৯, মুরাদনগরের উপজেলার ৪ জন।
যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন পাঁচজন এবং দেবিদ্বারের বরুড়ার,চৌদ্দগ্রাম, মনোহরগঞ্জের দুই জন করে রয়েছেন।এদিকে বুড়িচংয়ের,
আদর্শ সদরের, দাউদকান্দির একজন করে রয়েছেন। মৃতদের মধ্যে আটজন নারী এবংআটজন পুরুষ।
জেলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ২৪০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮০৭ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩৭৪জন। এনিয়ে মোট সুস্থ হলেন ১৮হাজার ৩৬৫ জন।
কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মহিউদ্দিন জানান,চলতি সপ্তাহে প্রতিদিনই হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের ভিড় বেড়েছে।যদি এ রকম চলতে থাকে তাহলে রোগীর চাপ সামলানো কষ্টকর হয়ে যাবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন,জেলায় করোনা সংক্রমণের হার কমাতে ও সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে প্রতিদিনই ভ্রাম্যমাণ আদালতের একাধিক অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন বলেন,আমরা চেষ্টা করছি জনসচেতনতা বাড়িয়ে কীভাবে সংক্রমণ কমানো যায়। সে লক্ষ্যে প্রতিদিনই কাজ চলছে। পাশাপাশি শতভাগ টিকা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে এখন প্রয়োজন সমন্বিত প্রয়াস।