সোহেল রানা, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে সাম্প্রতিক সময়ে জমি নিয়ে মারামারির কয়েকটি ঘটনায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হলেও, এবারও উপজেলার ভুল্লারহাট এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধে মারামারির ঘটনায় শিশুসহ ৬জন আহত হয়েছেন।
রবিবার (১৫ই অক্টোবর) দুপুর আনুমানিক ১২ ঘটিকার সময় উপজেলার ভুল্যারহাট বাজারের পার্শ্ববর্তী এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে কালিগঞ্জ থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আহত ৬ জনের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় এরশাদুল (৩৫) কে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এ ঘটনায় অন্যান্য আহত পাঁচ জন কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তিরত আছেন,আহতরা হলেন – ১। মিম আক্তার (২৩) ভর্তি রেজি নং ১৪০৬৭/১৮ বেড নং ২২, ২। জেসমিন আক্তার (২৫) ভর্তির রেজি নং ১৪০৩৩/১৪ বেড নং ২৩, ৩।সেলিম মেহেদী (৩৫) ভর্তির রেজি নং ১৪০৩৪/১৫ বেড নং ১৫, ৪।আবুল কালাম আজাদ (২৬) ভর্তির রেজি নং ১৪০৩৫/১৬ বেড নং ০৭, ৫।মুনতাহা (৩) ভর্তি রেজি নং ১৪০৩৬/১৭ বেড নং ২১।
সরজমিনে জানা যায়, সেলিম মেহেদী গংদের ভোগদখলীয় ১৩ শতাংশ জমির উপর বেঁড়া দিয়ে বে-দখল করার চেস্টা কে কেন্দ্র করে মজিদুল ইসলাম গংদের সহিত বিরোধের সুত্রপাত ঘটে। ভোগদখলীয় জমিতে বেঁড়া প্রদানে বাঁধা করলে মজিদুল ইসলাম গংদের আক্রমনে প্রতিপক্ষের ৬ জন আহত হয় বলে জানা যায়।
এ ঘটনায় এরশাদহলের মেয়ে লাবনী বলেন, আমার বাবা বাজার হতে আসার সময় আমার বাবার উপর মিজান, সাফিউল, ইরাত,নজরুল, আরজু গং হামলা করে। আমার বাবাকে(এরশাদুল/৩৫)গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নেয়া হলে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী বৃদ্ধা চাচী আলেমা খাতুন বলেন, ওমরা মোর ভাতিজাকে মোটা বাঁশ দিয়া মাথাত ডাং দেয়। মোট ভাতিজার মাথা ফাটি রক্ত ঘর হতে আঙ্গিনায় ভাসি গেছে, তোমরা একনা দেখো। আল্লাহ জানে ছোওয়াটা বাঁচে না মরে।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তিরত আবুল কালাম আজাদ(২৬) বলেন, আমার বাসা বুড়িমারীতে । আমি শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে আসছি। কিছুদিন ধরে তাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। বিষয়টি নিয়ে কালীগঞ্জ থানার একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে। আজ উভয় পক্ষের থানায় বসার কথা ছিল। তার আগেই আমাদেরকে ফাঁসাতে তারা এ ঘটনা ঘটালো।
স্থানীয় লোকজন বলেন, হামলাকারীরা তিন বছরের অবুঝ শিশু মুনতাহাকেও ছাড় দেয়নি। তারা এই নিরাপরাধ ছোট্ট শিশুটিকেও জখম করেছে।
সরজমিনে গিয়ে প্রতিপক্ষ মজিদুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তারা পলাতক রয়েছেন।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ইমতিয়াজ কবির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি জায়গা জমি সংক্রান্ত, আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।