অনলাইন ডেস্কঃ বাঘ-সিংহের পর স্নো লেপার্ড বা তুষার চিতার শরীরেও থাবা বসাল করোনাভাইরাস। একদিনে তিনটি চিতার কভিড টেস্ট পজিটিভ আসায় বিশেষজ্ঞরা বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন।
এ ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের। একটি চিতা রয়েছে কেনটাকি চিড়িয়াখানায়, বাকি দুটি লুইসভিলে।
তথ্য বলছে, তুষার চিতা হলো পশুদের মধ্যে ষষ্ঠ প্রজাতি, যার শরীরে এই ভয়ানক ভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়ল।
দেশটির কৃষি বিভাগের অধীন ন্যাশনাল ভেটেরিনারি সার্ভিস ল্যাবরেটরিজ সূত্রে খবর, গত কয়েক দিন ধরে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা হচ্ছিল তিন তুষার চিতার। যে কারণে কভিড সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই টেস্ট করানো হয়েছিল। সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে।
লুইসভিল চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আক্রান্ত তিনটি স্নো লেপার্ডের মৃদু লক্ষণ রয়েছে। সতর্কতা হিসেবে আলাদা করে রেখে চিকিত্সা চলছে। কর্তৃপক্ষ আশাবাদী কয়েক দিনের মধ্যেই আক্রান্ত চিতাগুলো সুস্থ হয়ে উঠবে।
তারা মনে করছে, উপসর্গহীন কোনো কর্মীর শরীর থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে। তবে অন্য পশুদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ায়নি বলেই নিশ্চিত করা হয়েছে।
এ ছাড়া আক্রান্ত প্রাণীর থেকে মানুষের শরীরে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা নেই। চিড়িয়াখানা খোলা থাকলেও তুষার চিতার প্রদর্শন আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কিছুদিন আগে নিউইয়র্কের চিড়িয়াখানায় চারটি বাঘ ও স্পেনের বার্সেলোনার চিড়িয়াখানার চারটি সিংহের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
এর আগে কুকুরের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর শোনা যায়। এ কারণে বাড়ির পোষ্য নিয়েও সতর্ক করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা।
গত বছরের শেষ দিকে চীনে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে করোনা। বলা হচ্ছে, দেশটির উহানের বন্যপ্রাণীর বাজার থেকে এই মহামারির সংক্রমণ ছড়ায়। ওয়ার্ল্ডোমিটারের হিসেবে এ পর্যন্ত এই রোগে ১৬ লাখের বেশি মানুষ মারা গেছে সারা বিশ্বে। দেশ রুপান্তর