হাজী কাজী নজরুল ইসলামঃ
ভাবের অন্তরচক্ষু দিয়ে লিখা হয়
প্রাণের গহিনের ভাব।
এটা কি সহজে আসে কারো মনে
ছন্দেরও থেকে যায় অভাব।
কবি অক্ষাংশ দ্রাগিমা,সুমেরু কুমেরু
আহ্নিক বার্ষিক নিয়ে।
গ্রহ নক্ষত্র,বলয় গ্যলাক্সি ছায়া পথ
সব নিয়ে যায় এগিয়ে।
কবি আরশ দেখতে পায় দেখে ঊল্কা
ধুমকেতুর অবক্ষয়।
সকল চেষ্টায় জয় করিতে করিতেই
বিশ্ব করে নেয় জয়।
কবি জাগিয়া তোলে অলস মষ্তিষ্কের
লাখো ঘুমানো কোষ।
কবি সত্যর সামর্থ মেরামত করিয়া
বদনে জাগায় জোস।
কবি, প্রেমের সাগরে উত্তাল ঢেউয়ের
নিয়ন্ত্রন করে হয় কবি।
কবি, নিখিল ভুবনের এক বড় আবিষ্কার
ব্যদনার ভুবনের ছবি।
কবি, মনুষ্যত্বের মাঝে হামাগুড়ি খেয়ে
নিজেরে আবিষ্কার করে।
কবিকে নিয়ে, গভেষনা বিহীন সমাজে
কিবা আসাই করে।
কবির দূরদর্শিতায় জগতের শীতল ছায়া
কবি, নহে কাহারো পুষ্য।
স্বাধীন কবি জগৎ বিচরণের সফলতায়
অনুকে বানাইয়া করে শিষ্য।
অনু, পরমানু নিয়ে খেলিতে খেলিতে কবি
জীবনেরে বিলায় ধরায়।
আবার ধরাকে আনুগত্যের সম্মহিত করিয়া
এই ধরাতেই হারায়।