ওসি সাজ্জাদ হোসেন এর যোগদানে পালটে গেছে বাঘা থানার চিত্র

আরো পরিবেশ রাজশাহী সারাদেশ
শেয়ার করুন...

বাঘা (রাজশাহী) সংবাদদাতাঃ
রাজশাহী জেলার গুরুত্বপূর্ণ থানা হিসেবে পরিচিত রয়েছে বাঘা থানার। থানাটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৮৩ সালে। ভারতের সীমান্তে পদ্মা নদীর তীর বর্তী এই বাঘা উপজেলাটি ৭টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত । ঐতিহ্যবাহী বাঘা শাহী মসজিদ, মাজার সহ অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি- বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিয়ে প্রায় ৩ লক্ষ্য মানুষের বসবাস এই উপজেলায়।

পুলিশ প্রশাসনের বাঘা থানাটি প্রতিষ্ঠার ৩৯ বছরে অফিসার ইনচার্জ এর দায়িত্ব পালন করেছে ৩৪ জন। গত ৪ জুন ২০২১ তারিখে আগের সকল ওসির থেকে সম্পুর্ণ ব্যাতিক্রম ধর্মী অফিসার ইনচার্জ হিসেবে যোগদান করে এ থানায় অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাজ্জাদ হোসেন সাজু।

পর্যবেক্ষনে জানা যায়, ওসি সাজ্জাদ হোসেন যোগদানের এক বছরে বদলে গেছে বাঘা থানার সকল স্তরের চিত্র। মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম এর শান্তির জনপদ হিসেবে বাঘা থানাকে গড়তে চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। পুরো বাঘার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওসি সাজ্জাদ হোসেন এর ভূমিকা অবিস্মরণীয়।

শোষিত, নির্যাতিত,সম্পদের ভাগ বন্টন, পারিবারিক ছোট-বড় যে কোন সমস্যায় থানায় পুলিশের আইনি সহায়তা নিতে আসা ব্যক্তিদের সততা -নিষ্ঠা ও ধৈর্যের শহিত হাসি মুখে সকাল থেকে গভীর রাত্রি পর্যন্ত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি । সেই সাথে থানার সকল অফিসারগনও ওসি সাজ্জাদ হোসেনের দিক-নির্দেশনায় সততা, ন্যায় ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।

বাঘা থানায় বিগত ২০১৯ হতে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৩১১টি মাদক মামলা রেকর্ড সহ ৩১৬৭ বোতল ফেন্সিডিল, ৮৮ গ্রাম হেরোইন, ২৩৮৫০ পিচ ইয়াবা, ২৩ কেজি ৭৬৫ গ্রাম গাঁজা, ১৮৫ লিটার , চোলাইমদ জব্দ করা হয়েছে।

এদিকে বর্তমান অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন এর এক বছরের কম সময়ে ২০৮টি মাদক মামলা, ৩১৮৭ বোতল ফেন্সিডিল, ১ কেজি ১৩০.৩গ্রাম হেরোইন, ৮৯০৩ পিচ ইয়াবা, ১২৬কেজি ৪৭০ গ্রাম গাঁজা, ১৩৯২ লিটার চোলাইমদ এবং দুই লিটার বিদেশী মদ উদ্ধার করেছেন।

ওসি সাজ্জাদ হোসেন বাঘা থানায় যোগদানের ১১ নাসে ৩ বার জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ এর পুরস্কার গ্রহন করেছেন জেলা পুলিশ সুপার এর হাত থেকে। সেই সাথে এসআই তৈয়ব আলী জেলা ও রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ সাব-ইনে্সফেক্টর ও এএসআই মালেক জেলার শ্রেষ্ঠ এএসআই এর পুরস্কার পেয়েছে ওসি সাজ্জাদ হোসেন এর নেতৃত্বের কারণে।

উপজেলার মনিগ্রাম ইউপির এক সদস্য আনারুল ইসলাম বলেন, আমার দেখা এই প্রথম কোন ওসি সাহেবে এসেছে আমাদের থানায়, যিনি আসার পর বাঘা থানায় আইনি সহায়তা নিতে আসা জনসাধারণকে একটি টাকাও খরচ করতে হয়না।

পাকুড়িয়া ইউনিয়নের এক সদস্য বলেন, আমাদের এলাকা ভারতের সীমান্তবর্তী হওয়ায় মাদক ব্যাবসায়ীদের দৌরাত্ন মাঝে মাঝেই বেড়ে যায়, তবে বর্তমান ওসি সাজ্জাদ হোসেন স্যার মাদক ব্যাবসায়ী, হুন্ডি, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ ও হ্যাকারদের কাছে এক আতংকের নাম।

থানা মসজিদের ইমাম আলী আযম ও মুয়াজ্জিন জানান, একজন ধর্ম প্রাণ মুসলমান হিসেবে শত ব্যস্ততার পরে ৫ ওয়াক্ত নামাজের সময়ে নিজে সহ তাঁর থানার অফিসারগন ও কনেস্টেবল দের সাথে নিয়ে নামাজ আদায় করেন। সেই সাথে থানায় আইনি সেবা নিতে আসা মানুষদেরও সঠিক ভাবে নামাজের তাগিদ দেন তিনি।আবার মাঝে মধ্যেই মসজিদে মুয়াজ্জিন কখনও ঈমামতিও করে থাকেন বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি সাজ্জাদ হোসেন। তাছাড়াও ধর্মীয় হাদিস বিষয়ে ওসি স্যারের ভালো জ্ঞান রয়েছে।

আড়ানী পৌরসভা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, থানা এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অপরাধ কর্মকান্ড দিন দিন কমতে শুরু করেছে। বর্তমান ওসি কসাহেব খুবই ভালো একজন মানুষ।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল বলেন, বাঘা উপজেলা আ”লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল বলেন,নিঃশন্ধে বাঘা থানার ওসি মোঃ সাজ্জাদ হোসেন যথেষ্ট ভুমিকা রেখেছেন উপজেলায়।মাদক নির্মূলে ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বাঘার ওসি মোঃ সাজ্জাদ হোসেন সফল অফিসার ইনচার্জ। তিনি অত্যন্ত ভালো মনের মানুষ আর এখন থানায় কোন টাকা লাগে না পুলিশ সেবা নিতে।

একান্ত সাক্ষাৎকারে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো, সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা এবং তারই সুযোগ্য কন্যা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কারিগর বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শান্তিময় সুশৃঙ্খল বাংলাদেশ পুলিশকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। পুলিশই জনতা-জনতাই পুলিশ, এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ পুলিশ চেন্স মেকার, পুলিশ বাহিনীর অভিভাবক ইনেসফেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ মাননীয় জনাব ডা, বেনজির আহমেদ বিপিএম (বার) স্যারে দিক-নির্দেশনায় ও রাজশাহী পুলিশের আলোকবর্তিকা ডিআইজি স্যার মোঃ আব্দুল বাতেন বিপিএম ও পিপিএম (বার) এবং রাজশাহী জেলার সুযোগ্য ন্যায় পরায়ন আমাদের সকলেরই প্রিয় অভিভাবক পুলিশ সুপার স্যার এবিএম মাসুদ হোসেন বিপিএম (বার)এর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় আমি পরিচালিত হয়ে শ্রদ্ধার সাথে বলছি,পুলিশই জনগণের প্রকৃত বন্ধু। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করাই আমাদের (পুলিশের)) কাজ। আমি মনে করি সাধারণ মানুষের সেবার শেষ আশ্রয়স্থল থানা পুলিশ।পুলিশই হোক জনগনের আজীবনের বন্ধু।জেলা পুলিশ সুপার স্যার এবিএম মাসুদ হোসেন বিপিএম (বার)এর দিক নির্দেশনা মোতাবেক আমিসহ বাঘা থানা পুলিশের সকল অফিসারগন ও কনেষ্ট্রেবল সকলেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করছি।

উল্লেখ্য,অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বাঘা থানা যোগদানের পরে মাদক সম্রাটসহ বড় বড় মাদক ব্যবসায়ী বিভিন্ন নেতা ও জনপ্রতিনিধিের মাধ্যমে মাদক ছেড়ে সরল পথে ফিরে আসার সুযোগ চেয়েছে ওসি সাজ্জাদ হোসেনের কাছে। উপজেলার পাকুড়িয়া, সুলতানপুর ও আড়ানীর এলাকার বড় মাদক ব্যবসায়ী সুন্দর জীবনের জন্য মাদক ছেড়ে দিয়ে অন্য বৈধ ব্যবসা শুরু করেছে।তাদের পরিবারের মা, বাবা ও স্রী ও জনপ্রতিনিধিগন খবর পাঠাচ্ছে বলেও জানতে পারা যায়।


শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.