বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এটি সংক্রমণ বৃদ্ধির খুব উচ্চ ঝুঁকি তৈরি করছে, যা কিছু জায়গায় ‘গুরুতর পরিণতি’ ডেকে আনতে পারে।
আজ সোমবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যুর খবর এখনও পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে ডব্লিউএইচও বলেছে, এ ধরনটি টিকাকে ফাঁকি দিতে পারে কি না সেই বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন।
গত সপ্তাহে প্রথম শনাক্ত হওয়া ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে জাতিসংঘের সংস্থাটি এটির ১৯৪টি সদস্য রাষ্ট্রকে উচ্চ-অগ্রাধিকার গোষ্ঠীকে টিকাদানের কাজ ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও বলেছে, ‘ওমিক্রনের অভূতপূর্ব সংখ্যক স্পাইক মিউটেশন রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি তাদের সম্ভাব্য প্রভাবের কারণে উদ্বেগজনক। এর সামগ্রিক বৈশ্বিক ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।’
ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর ওপর ওমিক্রনের প্রভাব যথেষ্ট হবে উল্লেখ করে সংস্থাটি বলেছে, কম টিকা দেওয়া হয়েছে—এমন দেশগুলোতে ওমিক্রনের যথেষ্ট প্রভাব পড়বে। টিকাপ্রাপ্তরাও এ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তা সংখ্যায় কম এবং অনুমানযোগ্য অনুপাতে হবে বলে মনে করছে ডব্লিউএইচও।
ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বলেছেন, ‘পরিস্থিতি কতটা বিপজ্জনক ও অনিশ্চিত, ওমিক্রনের উত্থানের ফলে তা বোঝা যাচ্ছে। মহামারি নিয়ে বিশ্বে কেন একটি নতুন চুক্তির প্রয়োজন, তা ওমিক্রন বুঝিয়ে দিচ্ছে।’