এপ্রিলে বেড়েছে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি, শহরের তুলনায় গ্রামের মানুষ বেশি কষ্টে

অর্থনীতি আরো জাতীয় পরিবেশ
শেয়ার করুন...

এপ্রিলে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০ শতাংশের ঘরে উঠেছে। ৩৫ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে এই মূল্যস্ফীতি এখন ১০ দশমিক ২২ শতাংশে। অর্থাৎ ৪ মাস পর খাদ্য মূল্যস্ফীতি আবার দশ শতাংশ ছাড়াল। আগের মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

তবে সার্বিক মূল্যস্ফীতি আগের মাসের চেয়ে কিছুটা কমে হয়েছে ৯.৭৪ শতাংশ। আগের মাসে যা ছিল ৯.৮৭ শতাংশ।
সোমবার (১৩ মে) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

বিবিএসের তথ্যে জানা গেছে, গত মার্চ মাসে ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) বেড়েছে নয় দশমিক ৮১ শতাংশ। গত এপ্রিলে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৩০ বেসিস পয়েন্ট কমে নয় দশমিক ৩৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মার্চে এটি ছিল নয় দশমিক ৬৪ শতাংশ।

সার্বিক দিক বিবেচনায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে মূল্যস্ফীতি উচ্চই রয়ে গেছে। সরকারের বিভিন্ন প্রচেষ্টার পরও মূল্যস্ফীতি কমানো যাচ্ছে না।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মাসিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, শহরের তুলনায় গ্রামের মানুষের কষ্ট বেশি হয়েছে গত মাসে। গ্রামে গড় মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯২, যেখানে শহরাঞ্চলের গড় মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৪৬। গ্রাম ও শহর দুই অঞ্চলেই খাদ্যের মূল্যস্ফীতি আবার দুই অঙ্ক ছাড়িয়েছে।

গত বছরের ডিসেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯.৫৮ শতাংশ। আর নভেম্বরে ছিল ১০.৭৬ শতাংশ। অর্থাৎ নভেম্বরের পর চলতি বছরের এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার আবারও ১০ শতাংশ ছাড়াল।


শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.