সীতাকুণ্ড থেকে ফিরে, সেলিম চৌধুরী হীরাঃ
এক দিনে ভ্রমন করতে পারেন চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলার বেশ কয়েকটি প্রাকৃতিক সৌর্ন্দয্যের অপরূপ স্থান৷
বর্তমানে সীতাকুণ্ড উপজেলা ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে৷
এখানে রয়েছে অনেক গুলো দর্শনীয় স্থান। ঝর্ণা, পাহাড়, আকাশ-সবুজের মিতালী, সমুদ্র সৈকত, স্বচ্ছ জলরাশীর লেক৷ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো চন্দ্রনাথ পাহাড়, গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত, বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত, মহামায়া লেক, কুমিরা ঘাট, ঝরঝরি ঝর্ণা, কমলদহ ঝর্ণা ও সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক। এ ছাড়াও চট্টগ্রামের কাছাকাছি নতুন কিছু স্থান রয়েছে৷
এক দিনে ভ্রমন করার জন্য তিনটি স্থান তালিকায় রাখলে একটু ভালোভাবে আনন্দ পাওয়া যেতে পারে৷ যদিও একদিনে সীতাকুন্ডের সব জায়গা ঘুরে দেখা সম্ভব না। তার পরেও আপনার তালিকায় যা রাখুননা কেন, এর জন্য আগে থেকে ছক তৈরী করে নিলে ভালো হবে৷
এখানে একদিনে ঘুরে আসার জন্য আমরা চারটি দর্শনীয় স্থান নির্বাচন করবো৷ যা সহজে ঘুরে আসা যাবে এক দিনে৷ এবং একদিনেই পাহাড়, ঝর্ণা, সমুদ্র, সবুজ প্রকৃতির সৌন্দ্যর্য এ ভ্রমণ অভিজ্ঞতায় অন্তর ভূক্ত করা হয়েছে৷
তার মধ্যে ১. চন্দ্রনাথ পাহাড়, ২. গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত, ৩. বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত, ৪. মহামায়া লেক৷
এই স্থান গুলো ভ্রমনের জন্য ঢাকা, সিলেট, নরসিংদী, কুমিল্লা, ফেনী, চট্টগ্রাম সহ দেশের যেখান থেকেই যাত্রা শুরু করেন না কেন, লক্ষ থাকতে হবে সকাল সকাল সীতাকুণ্ড শহরে পৌঁছতে হবে৷ সম্পূর্ন একদিন হাতে পেতে রাতে বেলা যাত্রা শুরু করুন৷
কিভাবে যাবেনঃ- ঢাকা থেকে চট্রগ্রামগামী বাসে সরাসরি সীতাকুণ্ড যাওয়া যায়। সায়েদাবাদ, ফকিরাপুল, কমলাপুর, মহাখালি বাস স্ট্যান্ড হতে এস আলম, শ্যামলি, সৌদিয়া, ইউনিক, হানিফ, ঈগল, সিডিএম (সব চেয়ে কম ভাড়ায় ২০০-২৫০ টাকায় যাওয়া যাবে সিডিএম বাসে, সায়েদাবাদ থেকে ছাড়ে) সহ বিভিন্ন পরিবহনের এসি/নন-এসি বাস চলাচল করে। নন-এসি বাসে জনপ্রতি টিকেটের মূল্য ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা এবং এসি বাসের টিকেট মূল্য ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। ঢাকা থেকে স্টার লাইন বাসে ২৫০-৩০০ টাকায় সরাসরি ফেনী গিয়ে তার পর লোকাল বাসে সীতাকুণ্ড যাওয়া যাবে৷
সীতাকুণ্ড যাতায়াতে নিজেস্ব ভাড়া করা গাড়ী বা বাস হলো সহজ হয়৷ ট্রেনেও যাওয়া যাবে, তবে একটু কঠিন হয়ে যায়৷ আনন্দ শুরুর আগেই যদি বিরক্তি আসে তা হলে আনন্দ কমে যায়৷ ট্রেনে যেতে হলে সিতাকুন্ড থামে এমন ট্রেনে ছড়তে হবে৷ না হয় ভেঙ্গে ভেঙ্গে যেতে হবে৷ ট্রেনে গেলে প্রথমে ফেনী রেলওয়ে জংশন নেমে সেখান থেকে ১০-২০ টাকায় রিক্সা/অটোতে চড়ে ফেনী মহিপাল বাস স্ট্যান্ড যেতে হবে। মহিপাল বাস স্ট্যান্ড হতে ৫০-১০০ টাকা ভাড়ায় লোকাল বাসে চড়ে সীতাকুন্ড যেতে হবে। তবে রাত ১০ টা ৩০ মিনিটে কমলাপুর রেলওয়ে ষ্টেশন হতে মেইল ট্রেনে জনপ্রতি ২৫০ টাকা ভাড়ায় সরাসরি সীতাকুণ্ড যেতে পারবেন। এই ট্রেন আপনাকে সকাল ৭টার মধ্যে সীতাকুণ্ড পৌঁছে দিবে৷
যে কোন জেলা থেকে আসতে চাইলে এমন ভাবে সীতাকুন্ড চলে আসুন যেন সকাল সকাল সীতাকুন্ড চলে আসতে পারেন। এতে করে সারাদিন ঘুরে বেড়াবার সময় হাতে থাকবে।
যেভাবে ঘুরে দেখবেন স্থান গুলোঃ সবচেয়ে ভাল হবে প্রথমে চন্দ্রনাথ পাহাড়ে চলে গেলে, তারপর সেখান থেকে কাছা কাছি রয়েছে গুলিয়াখালি সমূদ্র সৈকত ও বাঁশবাড়ীয়া, বিকেলে চলে যাবেন মহামায়া লেক৷
১. চন্দ্রনাথ পাহায়ঃ
সীতাকুণ্ড বাজারে সকালের নাস্তা সেরে জনপ্রতি ২০-৩০ টাকা সিএনজি ভাড়ায় চলে যান প্রথম গন্তব্য চন্দ্রনাথ পাহাড়ের পাদদেশে। সীতাকুণ্ডে সাধারণ মানের হোটেলের মধ্যে সৌদিয়া রেস্টুরেন্ট, আপন রেস্টুরেন্ট এবং আল আমিন উল্লেখ্যযোগ্য। তবে ভাল খাবার পরিবেশনায় এখানে আল আমিনের বেশ সুনাম রয়েছে।
চন্দ্রনাথ পাহাড়ের চূড়ায় আছে ঐতিহাসিক চন্দ্রনাথ মন্দির। হিন্দু ধর্মালম্বী দর্শনার্থীদের পাশাপাশি সকল ধর্মের ভ্রমণকারী মন্দির দর্শনের সাথে সাথে এই পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন। পাহাড়ে উঠার সময় অবশ্যই সাথে যথেষ্ঠ পরিমান পানি, স্যালাইন, শুকনো খাবার এবং বাঁশের লাঠি নিয়ে নিবেন (নিচে ভাড়ায় লাঠি পাওয়া যায়, ২০ টাকায় লাঠি ভাড়া নিয়ে ফিরে এসে লাঠি ফেরত দিলে দশ টাকা ফেরত পাবেন)। কারণ পাহাড়ের উপরে কোন কিছু কিনতে চাইলে দ্বিগুণ অর্থ ব্যয় করতে হবে। আর চন্দ্রনাথ পাহাড় চূড়ায় উঠতে প্রায় ১ ঘন্টা ৩০ মিনিটের মত সময় লাগবে এবং নামতে ১ ঘন্টা৷ মোট ২ঘন্টা ৩০ মিনিট সময় ব্যয় হবে৷ আর আশেপাশে দেখতে গেলে সময় আরো বেশী লাগতে পারে৷
চন্দ্রনাথ পাহাড় হিন্দু ধর্মালম্বীদের তীর্থস্থান আর সুবিশাল সমুদ্র অপরূপ প্রাকৃতিক সৌর্ন্দয্যের নীলাভূমি সীতাকুণ্ডকে করেছে অনন্য। চন্দ্রনাথ পাহাড়ের অবস্থান সীতাকুণ্ড বাজার থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার পূর্বে দিকে। সিএনজি চড়ে চন্দ্রনাথ পাহাড়ে নিচের গেটের কাছে যাওয়া যায়। তবে পায়ে হেঁটে চন্দ্রনাথ পাহাড়ে যাবার পথে হিন্দুদের বেশ কিছু ধর্মীয় স্থাপনা ও অধিবাসীদের জীবন যাত্রার চিত্র দেখে যেতে পারবেন। চন্দ্রনাথ পাহাড় শেষ চূড়াতেই রয়েছে চন্দ্রনাথ মন্দির।
চন্দ্রনাথ পাহাড়ে উঠার পথে ১০ মিনিট পর দেখতে পাবেন ছোট একটি ঝর্ণা। যা বর্ষা কালেই সৌন্দর্য বর্ধন করে৷ এই ঝর্ণার কাছ থেকে পাহাড়ে উঠার পথ দুই দিকে চলে গেছে। ডান দিকের পথটির পুরোটাতেই পাহাড়ে উঠার জন্য সিঁড়ি তৈরি করা, ধাপ গুলোও একটু বড়৷ আর বাম পাশের পথটি সম্পূর্নই পাহাড়ি। সাধারণত পাহাড়ি পথ দিয়ে উপরে উঠা তুলনামুলক সহজ আর সিঁড়ির পথে নামাতে সহজ হয়। পাহাড়ি পথে আবার শর্ট কার্ট কিছু পথ রয়েছে যা কিনা খুবই ভয়ঙ্কর, যথেষ্ঠ শক্তি সমর্থ না থাকলে শর্ট কার্ট পথ পরিহার করা উত্তম৷
চন্দ্রনাথ পাহাড়ের উচ্চতা ১১৫২ ফুট। হেঁটে উঠতে একটু পরিশ্রমের কাজ হলেও আপনি পাবেন এক অভূথ অ্যাডভেঞ্চার অভিজ্ঞতা৷ চূড়ায় পৌঁছার পর চন্দ্রনাথ জয়ের স্বাদ পাবেন নিশ্চই৷
চন্দ্রনাথ পাহাড়ের মাঝামাঝি দূরত্বে এবং চূড়ায় মন্দিরের কাছে ছোট টং দোকান আছে সেগুলিতে হালকা খাবার এবং পূজা দেয়ার উপকরণ পাওয়া যায়, তবে ভালো হয় উঠার সময় সাথে পর্যাপ্ত পানি ও কিছু শুকনো খাবার সাথে রাখলে। প্রতি বছর মহাশিবরাত্রি উপলক্ষ্যে প্রচুর হিন্দুধর্মালম্বী চন্দ্রনাথ পাহাড় ও মন্দিরে পুণ্যযাত্রায় আসেন। পাহাড়ের চূড়া থেকে নামতে সিঁড়ি করা পথে নেমে আসুন, লাঠি ফেরত দিয়ে ১০ টাকা ফিরিয়ে নিন৷
২. গুলিয়াখালী সমূদ্র সৈকতঃ
তার পরের গন্তব্য গুলিয়াখালী, পাহাড় বেয়ে পরিশ্রম শেষে সীতাকুণ্ড ফিরে হাল্কা নাস্তা করে নিতে পারেন৷
গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত সীতাকুণ্ড বাজার থেকে দূরত্ব মাত্র ৫ কিলোমিটার পশ্চিমে। অনিন্দ্য সুন্দর গুলিয়াখালি সৈকতকে সাজাতে সৃষ্টি কর্তা ও প্রকৃতি কোন কার্পন্য করেনি। একদিকে দিগন্তজোড়া সাগর জলরাশি আর অন্য দিকে কেওড়া বন এই সাগর সৈকতকে করেছে অনন্য। কেওড়া বনের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া খালের চারিদিকে কেওড়া গাছের শ্বাসমূল লক্ষ করা যায়, এই বন সমুদ্রের অনেকটা ভেতর পর্যন্ত চলে গেছে। এখানে পাওয়া যাবে সোয়াম্প ফরেস্ট ও ম্যানগ্রোভ বনের মত পরিবেশ। গুলিয়াখালি সৈকতকে ভিন্নতা দিয়েছে সবুজ গালিচার বিস্তৃত ঘাস। সাগরের পাশে সবুজ ঘাসের উন্মুক্ত প্রান্তর নিশ্চিতভাবেই আপনার চোখ জুড়াবে। সৈকতের পাশে সবুজ ঘাসের এই মাঠে প্রাকৃতিক ভাবেই জেগে উঠেছে আঁকা বাঁকা নালা। এইসব নালায় জোয়ারের সময় পানি ভরে উঠে। চারপাশে সবুজ ঘাস আর তারই মধ্যে ছোট ছোট নালায় পানি পূর্ণ এই দৃশ্য যে কাউকে মুগ্ধ করবে। অল্প পরিচিত এই সৈকতে মানুষজনের আনাগোনা কম বলে আপনি পাবেন নিরবিলি পরিবেশ। সাগরের এত ঢেউ বা গর্জন না থাকলেও এই নিরবিলি পরিবেশের গুলিয়াখালি সমুদ্র সৈকত আপনার কাছে ধরা দিবে ভিন্ন ভাবেই। চাইলে বোট ভাড়া করে সমুদ্রে ঘুরে আসতে পারেন। এক্ষেত্রে বোট ঠিক করতে দরদাম করে নিতে হবে।
গুলিয়াখালী ভ্রমন-
সীতাকুণ্ড থেকে সিএনজি/অটো (প্রকৃত ভাড়া ২০ টাকা) দামদর করে গুলিয়াখালী বেড়ি বাঁধে যাবেন৷ সেখান থেকে পায়ে হেটে সৈকতে যাবেন৷ তবে বেড়ি বাঁধ থেকেও বোট ভাড়া নেওয়া যায় জন পতি ২০-৩০ টাকা৷ আর সমূদ্র ভ্রমন করতে চাইলে, ৫০০-৬০০ টাকায় বোট রিজার্ভ করে নিতে পারেন৷ একজন দূই জন হলে ৫০-১০০ টাকায় অন্য গ্রুপের সাথে যুক্ত হতে পারেন৷ এখানে নিজেস্ব গাড়ি হলে ১০০ টাকা পার্কিং ফি দিতে হবে৷
তবে এখানে গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় হলো সময় থাকলে ৮০০-১২০০ টাকায় বোট রিজার্ভ করে এক সাথে “বাঁশবাড়ীয়া” ঘুরে আসতে পারেন৷
৩. কি আছে বাঁশবাড়ীয়া সমুদ্র সৈকতেঃ
বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত পর্যকটদের জন্যে একটা আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। ঝাউ গাছের সারি, খোলামেলা পরিবেশ, জেগে উঠা সবুজ ঘাসের চর, আছে পিকনিক স্পট, সব মিলিয়ে বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত অপূর্ব সৌন্দর্য নিয়ে অপেক্ষা করছে দর্শনার্থীদের জন্য। সেখানে আছে একটি লোহার ব্রীজ, যা দিয়ে আপনি হেঁটে যেতে পারবেন সমুদ্রের উপর দিয়ে। মূলত এটিই সবচেয়ে বেশি আকর্ষিত করে পর্যটকদের৷
এক সঙ্গে গুলিয়াখালী ও বাঁশবাড়ীয়া ঘুরে ফিরে আসুন সীতাকুণ্ড৷
৪. মহামায়া লেকঃ (সময় না থাকলে মহামায়া লেক একদিনের ভ্রমন তালিকা থেকে বাদ দিবেন)
মহামায়া লেক পার্শ্ববর্তী মিরসরাই উপজেলায় অবস্থিত, বাংলাদেশের অন্যতম কৃত্রিম হৃদ। সীতাকুণ্ড থেকে লোকাল বাসে/ সিএনজি চড়ে মিরসরাইয়ের দুর্গাপুর ইউনিয়নের ঠাকুরদিঘী বাজারে যেতে হবে৷ সেখান থেকে ২০ টাকায় মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে পাহাড়ের কোলে ১১ বর্গ কিলোমিটার জায়গাজুড়ে মহামায়া লেক গড়ে উঠেছে। লেকের টলটলে পানি আর পাহাড়ের মিতালী ছাড়াও এখানে পাহাড়ি গুহা, রাবার ড্যাম ও অনিন্দ্য সুন্দর ঝর্ণা রয়েছে। বোটে চড়ে লেকে ঘুরার পাশাপাশি চাইলে পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে আসা ঝর্ণার শীতল পানিতে ভিজে শরীর ও মনকে অপার্থিব প্রশান্তি দিতে পারেন। ৮০০-১২০০ টাকায় বোট ভাড়া করে পুরো লেক ঘুরতে পারেন৷ মহামায়া লেকে রয়েছে কায়াকিং করার সুবিধা৷
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ন্ত্রণে থাকা মহামায়া লেকে ডুকতে জন প্রতি ২০ টাকা ও নিজেস্ব গাড়ী হলে ১০০ টাকা পার্কিং চার্জ দিতে হবে৷ সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকতে পারেন সেখানে৷ তারপর বেরিয়ে পড়ুন নিজ গন্তব্যার দিকে৷ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গেলে প্রায় সকল পরিবহণের বাস পাবেন।
বিঃদ্রঃ আপনার নিজেস্ব ভাড়া গাড়ী হলে সময় যেমন বাঁচবে তেমনি ভ্রমন হবে আনন্দময়৷
ভ্রমণ খরচঃ
এই একদিনের ভ্রমনে কত খরচ হবে তা স্বাভাবিক ভাবেই আপনি বা আপনাদের উপরেই নির্ভর করবে। খাওয়া দাওয়া এবং যাতায়াতই মূলত এই ট্রিপের মূল খরচ। আর একসাথে গ্রুপ করে গেলে স্বাভাবিক ভাবেই খরচ কিছুটা কমে যাবে। এক জায়গা থেকে আরেক জায়গা যাওয়ার সময় লোকাল সিএনজি/ইজিবাইক ব্যবহার করলেও খরচ কম লাগবে। এছাড়া আপনারা যদি একসাথে ৪-৫ জন হন তাহলে যাতায়াতের জন্যে সিএনজি রিসার্ভ করে নিতে পারেন, এতে সময় বেঁচে যাবে।
ঢাকা থেকে ঘুরে দেখার একটা আনুমানিক খরচের হিসেব নিচে দেওয়া হলো। এবং ধরে নিচ্ছি আপনারা একসাথে ৮ জন ভ্রমণ করতে যাবেন। এখান থেকে ধারণা করতে পারবেন কেমন খরচ হতে পারে।
এখানে ৮জনের গ্রুপের জন্য সর্ব নিন্ম খরচের একটা ধারনা দেয়া হলো-
ঢাকা সিডিএম বাসে যাওয়া ও আসা – জনপ্রতি (২০০ থেকে ২৫০ টাকা) ৪০০ x ৮ = ৩২০০ টাকা৷
সকালের নাস্তা জনপ্রতি ৫০ x ৮ = ৪০০ টাকা৷
দুপুরের খাবার জনপ্রতি ১২০ x ৮ = ৯৬০ টাকা৷
চন্দ্রনাথ যাওয়া-আসা জনপ্রতি ৫০x৮=৪০০ টাকা
চন্দ্রনাথ পাহাড়ে টুকিটাকি খরচ জনপ্রতি ৫০x৮=৪০০ টাকা৷
গুলিয়াখালী যাওয়া-আসা জনপ্রতি ৫০x৮=৪০০ টাকা৷
গুলিয়াখালী ও বাঁশবাড়ীয়া ঘুরতে বোট ভায়া জনপ্রতি ১৫০x৮=১২০০ টাকা৷
বিকেলের নাস্তা জনপ্রতি ৫০x৮=৪০০ টাকা৷
সিতাকুন্ডু থেকে মিরসরাই যাওয়া বাস ভায়া জনপ্রতি ২০x৮=১৬০ টাকা৷
মিরসরাই থেকে মহামায়া যাওয়া-আসা জনপ্রতি ৪০x৮=২২০ টাকা৷
মহামায়া লেক ঘুরতে বোট ভায়া জনপ্রতি ১৫০x৮=১২০০ টাকা৷
অন্যান্য টুকিটাকি খরচ জনপ্রতি ৮২.৫০x৮ = ৬৬০ টাকা৷
সর্ব মোট খরচ ৯৬০০ টাকা ধরা হলে, জন প্রতি খরচ ১২০০ টাকা৷