হাফিজুর রহমান জামালপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
“বিট পুলিশিং বাড়ি বাড়ি নিরাপদ সমাজ গড়ি”
অপরাধীর কোন রাজনৈতিক পরিচয় নেই, তার কোন বংশ নেই, তার কোন ধর্ম নেই, তার কোন বর্ণ নেই। অপরাধী, সে কেবল অপরাধীই। তার কোন রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে না।
“১০ জন অপরাধী ছাড়া পেলেও, ০১ জন নিরপরাধ ব্যক্তি যেন শাস্তি না পায়”।
০৬ নং ভাটারা ইউনিয়ন বিট পুলিশিং কমিটি,সরিষাবাড়ী জামালপুর কর্তৃক আয়োজিত মাদক, জুয়া, চুরি, ছিনতাই, বাল্যবিবাহ, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস মুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে এক বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় মোঃ চাঁদ মিয়া, অফিসার ইনচার্জ, সরিষাবাড়ী থানা’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামালপুর জেলার পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম পিপিএম-সেবা।
বিট পুলিশিং সভায় ০৬ নং ভাটারা ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন সমস্যা, সামাজিক অবক্ষয়, বিভিন্ন সামাজিক অপরাধের চিত্র তারা তাদের বক্তব্যে তুলে ধরেন। সকল সমস্যা নিরসনের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণে সকলে ঐকমত্য পোষণ করেন।
পুলিশ সুপার তাঁর বক্তব্যে বলেন, পুলিশ বাংলাদেশের সর্বোবৃহৎ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যারা দেশের আইন-শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখার জন্য সৃষ্টিলগ্ন থেকে যেভাবে কাজ করে চলছে বিগত ১৫/১৬ বছর যে ব্যত্যয় হয়েছিল সেটি জুলাই-আগস্টের পর থেকে নতুন করে আবার পথ চলা শুরু হয়েছে। পুলিশ জনগণের মধ্যে যে গ্যাপ ছিল সেটি আমরা দূর করতে সক্ষম হয়েছি। পুলিশ আপনাদের সহযোগিতায়, আপনাদের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য নিয়ে স্বাভাবিক কাজ করে যাচ্ছে। সারা বাংলাদেশে বর্তমান পুলিশ যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে তাতে আইনশৃঙ্খলা অনেক সমুন্নত আছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক আছে কিনা এটিই মানুষের কাছে প্রায়োরিটি পাই। সেই কাজটিই বাংলাদেশ পুলিশ করে যাচ্ছে। আমরা ৫ই আগস্টের পর কতটুকু করেছি সেটি মূল্যায়নের দায়িত্ব আপনাদের কাছে।
তিনি আরও বলেন একটি মহল এই দেশ কে ব্যার্থ করার ষড়যন্ত্র করে চলছে।এই সরকার ব্যার্থ হলে এই দেশ ব্যার্থ হবে।
তিনি বলেন, কোন জনপদই নিরাপদ নয় যদি পুলিশ সেক্রিফাইস করে। আমি বিশ্বাস করি না, আমার কোন পুলিশ কোন মাদক ব্যবসায়ীর সাথে, কোন অপরাধীর সাথে সমঝোতা করে। যদি করে থাকে তাহলে এরকম কোন তথ্য যদি থাকে দেন, সে পুলিশ সদস্য এ জেলায় কাজ করতে পারবে না। তার বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেব। পুলিশ অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করে, পুলিশ অপরাধীকে আইনের আওতায় আনে। সেই কাজটুকু যদি পুলিশ না করে তাহলে সে পুলিশের এখানে কোন প্রয়োজন নেই।
যারা এই অঞ্চলে, যেকোনো ধরনের অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত আছে আপনারা তথ্য প্রমাণ দেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা আপনাদের জন্য কাজ করতে চাই।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ইয়াহিয়া আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল, জামালপুর; মোঃ নাজমুস সাকিব, ওসি,ডিবি-১, জামালপুর;
সরিষাবাড়ি থানার সেকেন্ড অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার,জামালপুর জেলা বিএনপি`র সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম, জেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক এড. আব্দুল আওয়াল, ইউনিয়ন বিএনপি`র সভাপতি এড. হুমায়ুন কবীর,সরিষাবাড়ি উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাএ আন্দোলনের সদস্য সচিব ছাবের হোসেন বিপুল।
বিভিন্ন রাজনৈতিক অঙ্গনের নেতৃবৃন্দসহ ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া ও গণমাধ্যম কর্মীর ব্যক্তিবর্গ।