উলিপুর (কুড়িগ্রাম) থেকে :
কুড়িগ্রামের উলিপুর পৌর শহরের প্রবেশ মুখে রাস্তার খানা-খন্দে জনদুর্ভোগ এখন চরম আকার ধারণ করেছে৷ হাজারো জনসাধারণের নিত্যদিনের এ দুর্ভোগ দেখার যেন কেউ নেই l
শুধুমাত্র এক পশলা বৃষ্টি হলেই এ দুর্ভোগ আরোও চরম আকার ধারণ করে৷ প্রতিদিন নিম্নে চার/পাঁচটি করে দুর্ঘটনাও ঘটে এখানে এছাড়াও এ দুর্ভোগের কারণে যানজট লেগেই থাকে সারাক্ষণ l
দুর্ভোগ স্থলটি হচ্ছে, কুড়িগ্রাম চিলমারী মহাসড়কে উলিপুর পৌরসভার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয় এর সম্মুখে অর্থাৎ কুড়িগ্রাম চিলমারী মহাসড়কের গুনাইগাছ মোড় হতে আমিন মোড় পর্যন্ত প্রায় ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের রাস্তাটির মধ্যস্থলটির মাত্র ৪০ ফুট রাস্তা এ চরম দুর্ভোগের স্থান l
মহা সড়কের এ জায়গাটিতে দীর্ঘদিন ধরে অর্থাৎ গত বর্ষা মৌসুম থেকে খানা-খন্দে ভরপুর হয়ে আছে৷ এ রাস্তা দিয়ে চিলমারী উপজেলা হতে ঢাকাগামী প্রায় ২৫/ ৩০ টি নাইট কোচ নিয়মিত যাতায়াত করে l
এছাড়াও এ রাস্তা দিয়ে কুড়িগ্রাম হতে চিলমারী পর্যন্ত জেএস নামের পরিবহন ও শতাধিক অটোরিকশা প্রতিনিয়তই যাতায়াত করে থাকে
অন্যদিকে, উলিপুর উপজেলার তবকপুর, বজরা ও গুনাইগাছ ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন উলিপুরসহ কুড়িগ্রাম জেলা শহর ও বিভাগীয় শহর রংপুরে এ রাস্তা দিয়েই নিয়মিত যাতায়াত করে থাকে l
এ রাস্তায় জনদুর্ভোগ দেখে উলিপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মামুন সরকার মিঠু প্রায় মাসখানেক আগে কিছু রাবিশ ফেলে দিয়ে রাস্তার কিছুটা উন্নয়ন করেন l
বিষয়টি রোডস এন্ড হাইওয়ের ইঞ্জিনিয়ার মহোদয়কে জানালে, তিনি মাত্র কুড়ি ফিট জায়গা জুড়ে কিছু ইট বিছিয়ে দেন l
খানাখন্দ যেখানে ছিল প্রায় ৬০ ফিট এর মত দীর্ঘ এলাকা জুড়ে l
সেখানে ২০ ফিট ইট বিছানো হলে বাকি ৪০ ফুট রাস্তা খানা-খন্দেই পড়ে থাকে l
এ ঘটনায় উলিপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মামুন সরকার মিঠু এ প্রতিনিধিকে জানান, রাস্তার দুই ধারে সবগুলো বাড়ি উঁচু করে তৈরী করায় রাস্তার উপর বৃষ্টির পানি পড়লে তা বের হওয়ার কোন উপায় থাকে না l
ফলে একটুখানি বৃষ্টি হলেই রাস্তাটিতে মানুষের দুর্ভোগ অনেক বেড়ে যায় l
ভবিষ্যতে রাস্তার পাশে ড্রেন করলে এ দুর্ভোগ শেষ হবে বলে তিনি জানিয়েছেন l
এ ঘটনায় রোডস এন্ড হাইওয়ে এর নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি আজ ২৮ জুলাই বৃহস্পতিবার দুর্ভোগ স্থল পরিদর্শন করেছি l
ওই জায়গায় রাস্তা থেকে পানি নেমে যাওয়ার কোন পথ না থাকায় বারবার জনগণকে এ দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে l
আগামী বছর এ রাস্তাটিতে সিসি ঢালাই এর কাজ হলে এ দুর্ভোগ আর থাকবে না৷
নির্বাহী প্রকৌশলী আরও বলেন, তারপরও আমি আগামী দু-একদিনের মধ্যে সেখানে রাস্তা রিপিয়ার করার ব্যবস্থা করছি l