অনলাইন ডেক্সঃ
বাংলাদেশে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। ধারাবাহিকভাবে এই সংক্রমণ বাড়তে বাড়তে ৪৮ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। আগামী সপ্তাহেই ঈদ। আর এই ঈদের সময়ে ওপার বাংলার কোভিড পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা আছে বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে আবার একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে বাংলাদেশ সরকার এবং স্বাস্থ্য দফতর।
মাঝে সংক্রমণের হার বেশ কিছুটা কমে গেলেও ফের বাংলাদেশে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সামনেই ঈদ। তার আগে নতুন করে ওপার বাংলায় ভয় ধরাচ্ছে করোনার ঊর্দ্ধমুখী গ্রাফ। গত মাস থেকেই বাংলাদেশে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। ধারাবাহিকভাবে এই সংক্রমণ বাড়তে বাড়তে ৪৮ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। আগামী সপ্তাহেই ঈদ। আর এই ইদের সময়ে ওপার বাংলার কোভিড পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা আছে বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে আবার একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে বাংলাদেশ সরকার এবং স্বাস্থ্য দফতর। মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু নির্দেশ জারি করে দিলেই করোনা পরিস্থিতি পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে শুধু গুরুত্ব দিলেই হবে না। বাস্তবে সবাই ওই নির্দেশ মানছেন কী না তা দেখার জন্য প্রশাসনের তদারকি বাড়াতে হবে। জনবহুল এলাকায় এই নিয়ে নজরদারি চালাতে হবে বলেও মত তাঁদের।
বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে নেওয়া হয় একগুচ্ছ পদক্ষেপ। টিকাকরণ অভিযানে জোর দেওয়া হয়। এছাড়াও বুস্টার ডোজ দেওয়ার জন্য করা হয় বিশেষ ক্যাম্প। এর আগে তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর ডিসেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত চার-পাঁচটি জেলায় নতুন রোগী শনাক্ত হত। এখন এই জেলার সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকায় উদ্বেগ বাড়ছে ওপার বাংলার স্বাস্থ্য দফতরের।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকাল আটটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের এক জন ঢাকা বিভাগের, অন্যজন চট্টগ্রামের। শনিবার করোনায় মৃত্যু হয় ছয় জনের । শুক্রবার মারা গিয়েছিলেন চার জন। এই নিয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনায় মারা গিয়েছেন ২৯ হাজার ১৬২। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘটনায় বাংলাদেশের আটটি বিভাগের ১৬টি জেলায় করোনার নতুন রোগী শনাক্ত হয়নি। বাকি সব জেলায় রোগী শনাক্ত হয়েছে। নতুন শনাক্তদের ৮০ শতাংশই ঢাকা বিভাগের।
স্বাস্থ্য অধি দফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ২৪৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৯০২। নমুনা পরীক্ষার হিসাবে শনাক্তের হার ১৫.৫৩ শতাংশ। মোট শনাক্তের হার ১৩.৭৬ ১৩ শতাংশ। নতুন করে যাদের করোনা শনাক্ত হয়েছে তাদের মধ্যে এক হাজার ১৪৪ জন ঢাকা জেলার। এ নিয়ে মোট শনাক্ত হয়েছে ১৯ লাখ ৭৮ হাজার ৬৮৯ জন।