ইতালির ল্যাম্পডুসা দ্বীপের নিকট ৫৩৯ জন অভিবাসীসহ একটি জেলে নৌকা উদ্ধার করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে সাগরে ভাসমান অবস্থায় এত অভিবাসীকে একসাথে উদ্ধার করা হয়নি।
নারী ও শিশুও ছিল সেখানে। এরা সবাই লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে শরণার্থী হবার আশায় এসেছে।
এরা ঠিক কোন দেশি এখনো জানা যায়নি, তবে এর আগে ইতালির উপকূল থেকে যেসব শরণার্থীকে উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে প্রচুর সংখ্যক বাংলাদেশি থাকার ইতিহাস রয়েছে।
বাংলাদেশের স্থানীয় গণমাধ্যম খবর দিচ্ছে এবারে উদ্ধার করা ৫ শতাধিক মানুষের মধ্যেও বাংলাদেশি রয়েছে।
লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়া কয়েকজন অভিবাসীর শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন দেখা গেছে।
ইতালির কৌসুঁলিরা ঘটনার বিস্তারিত জানতে তদন্ত করবে।
ডক্টরস ইউদাউট বর্ডারের একজন চিকিৎসক অ্যালিডা সেরা মিয়েরি বলেন, লিবিয়ায় যখন তারা সাগর পাড়ি দেবার জন্য অপেক্ষা করছিলেন তখন এদের কয়েকজনকে শারিরীক নির্যাতন করা হয়।
ইতালির স্থানীয় সংবাদে বলা হচ্ছে, এই অভিবাসীদের কেউ মিথ্যে অভিযোগে লিবিয়ার কারাগারে ছিলেন কি না সেই সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
ল্যাম্পডুসার মেয়র টোটো মার্টেও এই উদ্ধারকাজকে ‘সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম বড় দল’ বলে আখ্যা দেন।
ইউরোপে ঢোকার জন্য ল্যাম্পডুসা অন্যতম প্রধান বন্দর।
মে মাসে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সহস্রাধিক অভিবাসী এই দ্বীপে এসে উপস্থিত হয়েছিলেন।
এই দ্বীপে অভিবাসীদের একটি ক্যাম্পও আছে, যেখানে তিনশোর মতো মানুষের জায়গা হতে পারে।
এখন সেখানে ধারণক্ষমতার পাঁচগুণ লোক রয়েছে। অনেকের জায়গা হয়েছে ক্যাম্পের বাইরে ধুলিময় সড়কে।
বেশিরভাগ মানুষই এমন দেশ থেকে আসছেন, যারা রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করবার যোগ্য নয়।
সূত্র:বিবিসি