অনলাইন ডেস্কঃ এ হলো এক জাতীয় উদ্ভিদ৷ যেমন অদ্ভুত নাম তেমনি অদ্ভুত কাজ৷ এই গাছ দেখলেই বানর পালায়, মানুষ আপন করে ব্যবহার করে৷
ফল অনেকটা শিমের মতো, ৪ থেকে ৬ টা বীজ থাকে। শুকনো ১০০টি বীজের ওজনহচ্ছে ৫৫-৮৫ গ্রাম। বীজগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লোম দ্বারা আবৃত থাকে যা সহজেই পৃথক হয়ে যায়। এগুলি ত্বকের সংস্পর্শে এলে প্রচণ্ড চুলকানি সৃষ্টি করে। বানরের সঙ্গে এদের সম্পর্ক হল, যখন আলকুশি ফল পুষ্ট হতে থাকে তখন চুল্কানির ভয়ে বানরের দল ওই এলাকা ছেড়ে চলে যায়, কারণ এর হুল বাতাসেও ছড়িয়ে পড়ে। বানরেরা ফিরে আসে যখন মাটিতে ফল পড়ে যায়। সেগুলো তারা খায় বিশেষ দৈহিক কারণে। বাংলাদেশে এখন সচর আচর দেখা না গেলেও, বর্তমানে পার্বত্য অঞ্চল খাগড়াছড়ি বান্দরবন এলাকার পাহাড়ে প্রচুর পরিমাণে দেখা যায়৷
তবে কিছু আলকুশি আছে যার রোম নেই বললেই চলে সেটা কাকাণ্ডোল, Mucuna pruriens var. utilis নামে পরিচিত৷
বোটানিক্যাল নামের Pruriens শব্দটি এসেছে ল্যাটিন ভাষা থেকে, যার অর্থ চুলকানির অণুভূতি। ফলের খোসা ও পাতায় আছে- সেরাটোনিন, যার কারণে চুলকানির উদ্রেক হয়। মধ্য আমেরিকায় আলকুশির বীচি আগুনে ভেজে চূর্ণ করা হয় কফির বিকল্প হিসেবে। এ কারণে ব্রাজিলসহ অন্যান্য দেশে এর প্রচলিত নাম হচ্ছে নেস ক্যাফে! গুয়েতেমালায় কেচি সম্প্রদায়ের মানুষ এখনও খাদ্যশস্য হিসেবে এটি আবাদ করে! সবজি হিসেবে রান্না হয়!
বুকে জমে থাকা কফ সারাতে এর মূল বেশ কার্যকরি।
এর পাতা শাকের মত রান্না করে খেলে রক্তপিত্ত থেকে আরোগ্য আসে বলে জানা গেছে৷ (কপি)