অনলাইন ডেস্কঃ আগামী ছয় মাসের মধ্যে নিজস্ব ভ্যাকসিন তৈরি করা বাংলাদেশের টার্গেট হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
আজ শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের বীর উত্তম মেজর এটিএম হায়দার মিলনায়তনে ‘ডিকোডিং অব ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট, ইটস ক্যাটাসথ্রফিক ইফেক্টস অ্যান্ড প্রব্যাবল ওয়ে আউট: অ্যা হাইপোথিটিক্যাল অ্যানালাইসিস’ শীর্ষক ওয়েবিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. লায়লা পারভীন বানুর সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান, বিজ্ঞানী ও ভাইরাস বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. বিজন কুমার শীল। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জুমে বক্তব্য রাখেন বিএসএমএমইউ সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী, পিএইচসির সাবেক পরিচালক অধ্যাপক জাকির হোসেন, বিএসএমএমইউর ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান, আইইডিসিআর উপদেষ্টা ডা. মোস্তফা হোসেন, স্বাস্থ্য বাতায়নের প্রধান ডা. নিজাম উদ্দীন আহমেদ।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘দেশে ভ্যাকসিন তৈরি করার জন্য আমি আগেও প্রস্তাব করেছি, আবারও করছি। অধ্যাপক নজরুল ইসলাম আছেন, অধ্যাপক আজাদ আছেন, বিজন কুমার শীল আছেন। আরও দুই-চার জন যারা আছেন, তাদের নিয়ে ভ্যাকসিন তৈরি হবে। বক্তৃতা না দিয়ে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া দরকার। এই একটা কাজ করলেও প্রধানমন্ত্রী স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের বিজ্ঞানী বিজন কুমার শীল করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভেরিয়েন্টের ডিকোডিং করেছেন। এটার জন্য অনেক বেশি গবেষণার দরকার। ছয় মাস আগে আমাদের এখানে চীন ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করতে চেয়েছিল, কিন্তু, সেটা হয়নি। ভ্যাকসিন তৈরি নিউক্লিয়ার সাইন্সের ব্যাপার না। আমাদের অভিজ্ঞতা আছে, এখানে বিনিয়োগের প্রয়োজন। আজ রাশিয়ার সহযোগিতা নিয়ে কিউবা ও ইরান ভ্যাকসিন তৈরি করছে। দেড় বছর আগে আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম। আমাদের কথা শোনেন নাই।’
‘আমাদের টার্গেট হওয়া উচিত ছয় মাসের মধ্যে আমাদের নিজস্ব ভ্যাকসিন তৈরি করা। কিউবা যেমন ভ্যাকসিন তৈরি করেছে, ইরান যেমন ভ্যাকসিন তৈরি করেছে, তেমনি বাংলাদেশ যদি চায়, তাহলে রাশিয়া আমাদের সহযোগিতা করবে। আমরাই কিউবার মতো ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারব, তখন এর দাম পড়বে আধা ডলার’, যোগ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. বিজন কুমার শীল বলেন, ‘নিয়মিত মাস্ক পরিধান এবং ভ্যাকসিন গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই।’
আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ড. এস. তাসাদ্দেক আহমেদ, গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গণমাধ্যম উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা প্রমুখ। সূত্রঃ ডেইলি ষ্টার