বাংলাদেশে ক্লিন-ফিড দেয় এমন ২০টিরও বেশি বিদেশি চ্যানেল আবারো চালু হয়েছে। পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর চ্যানেলগুলো চালু হওয়ার কথা জানিয়েছেন কেবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আনোয়ার পারভেজ।
তিনি বলেন, ক্লিন-ফিড পাওয়ার কারণে ১৫টি চ্যানেলের সম্প্রচার আবারো চালু করা হয়েছে। এছাড়া আরো যেসব চ্যানেলের ক্লিন-ফিড পাওয়া যাবে সেগুলোর বিষয়েও খোঁজ নেয়া হচ্ছে। পাওয়া গেলে সেগুলোও চালু করা হবে। সম্প্রতি, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে ক্লিন-ফিড দেয় এমন চ্যানেলের সম্প্রচার অব্যাহত রাখার বিষয়ে দেয়া এক নির্দেশের পর এই পদক্ষেপ আসলো। বিষয়টি স্বীকার করেছেন কোয়াব নেতারাও। তারা বলছেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ এবং ক্লিন-ফিড বা বিজ্ঞাপন বিহীন ফিড পাওয়ার কারণেই এসব চ্যানেল চালু করা হয়েছে।
যেসব চ্যানেল আবার দেখা যাচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমা কয়েকটি চ্যানেল এবং কোরিয়া, জাপান ও চীনের বেশ কিছু চ্যানেল। তবে ক্লিন-ফিড না পাওয়ার কারণে ঢাকাসহ পুরো দেশে ৪০-৫০টির মতো চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ আছে।
মি. পারভেজ বলেন, “ঢাকার বাইরের শহরগুলোতে ৬০টির মতো চ্যানেল চলতো। আর ঢাকাতে চলতো ৯০টি। এগুলোর মধ্যে সব মিলিয়ে এখন চালু আছে ৫০টির মতো।” ক্লিন-ফিড না থাকা ছাড়া সম্প্রচার বন্ধ থাকার আর কোন কারণ নেই বলেও জানান তিনি।
যেসব চ্যানেল দেখা যাচ্ছে
বুধবার রাজধানী ঢাকা থেকে বিভিন্ন চ্যানেলগুলো খুঁজে দেখার সময় যে চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার চোখে পড়েছে সেগুলো হচ্ছে, বিবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ, বিবিসি আর্থ, ডি-ডাব্লিউ, সিসিটিভি, ফ্রান্স ২৪, আল জাজিরা, ফিনিক্স ইনফো নিউজ, এবিসি অস্ট্রেলিয়া, সিএনএন ইন্টারন্যাশনাল, লোটাস ম্যাকাও, এইচবিও এইচডি, সিএনবিসি গল্ফ, লাইভ স্পোর্ট, এএক্সএন এইচডি, ওয়ার্নার টিভি, এনএইচকে-ওয়ার্ল্ড জাপান, চ্যানেল নিউজ এশিয়া, এনিম্যাক্স এইচডি, সৌদি কুরান, সৌদি সুন্নাহ, কেবিএস কোরিয়া, রাশিয়া টুডে, আরিরাং, সিজিটিভি এবং ট্রাভেলএক্সপি।
বাংলাদেশে বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচার সংক্রান্ত একটি পুরনো আইন বাস্তবায়ন করতে গিয়ে গত পহেলা অক্টোবর থেকে দেশে সব রকম বিদেশি টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয়।
আইনটিতে বলা আছে, যেসব বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেখানো হয়, সেসব চ্যানেল বাংলাদেশে প্রদর্শন করা যাবে না, এই নিয়ম কার্যকর করতে গিয়ে শুক্রবার বিবিসি-সিএনএনসহ সব আন্তর্জাতিক খবরের চ্যানেল, খেলার চ্যানেল এবং ভারতীয় বিনোদন চ্যানেল গুলোসহ সব বিদেশি চ্যানেলগুলো বন্ধ করে দেয় কেবল অপারেটররা, যা এখন পর্যন্ত বন্ধই রয়েছে।