অনলাইন ডেস্কঃ সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যের হাতে তিনি নিহত হন। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা।
প্রতিবছর এ দিনটিকে জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী হিসেবে পালন করে বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। প্রতিবছর দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে এ দিবসটি পালন করা হলেও বিগত ৪ বছর কারাগার এবং শর্তসাপেক্ষে জামিনে থাকায় তাঁর অনুপস্থিতিতে এ দিন পালন করছেন নেতাকর্মীরা।
দিবসটি উপলক্ষে বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো ১০ দিনের কর্মসূচি পালন করবে। এর মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, পোস্টার প্রকাশ ও কালো ব্যাজ ধারণ, কালো পতাকা উত্তোলন, সংবাদপত্রে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ, জিয়ার কবরে ফুল দেওয়া ও ফাতিহা পাঠ, দরিদ্রদের মধ্যে খাদ্য ও বস্ত্রসামগ্রী বিতরণ। এ ছাড়া আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
গতকাল রোববার রমনার ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স-বাংলাদেশ মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে দলের সিনিয়র নেতা ও বিশিষ্টজন বক্তব্য দেন।
দিনটি উপলক্ষে আজ সোমবার ভোর ৬টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশের কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। নেতাকর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করবেন। সকাল ১১টায় শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ, ১ জুন জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) ও কৃষক দলের উদ্যোগে আলোচনা সভা। ৪ জুন তাঁতী দলের উদ্যোগে, ৫ জুন ছাত্রদলের উদ্যোগে, ৬ জুন স্বেচ্ছাসেবক দলের এবং ৭ জুন মৎস্যজীবী দলের উদ্যোগে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। একইভাবে দিবসটি উপলক্ষে সারাদেশে জেলা ও মহানগরীতে ইউনিটের উদ্যোগে আলোচনা সভা হবে।
আজ ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে ২৬টি থানার ৭১টি ওয়ার্ডে এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে ২৭টি স্থানে খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ করা হবে। এসব স্থানে দলের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
দিনটি উপলক্ষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল রোববার গণমাধ্যমে দেওয়া এক বাণীতে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।