অনলাইন ডেস্কঃ প্রথম দুই ম্যাচ হারের পর অস্ট্রেলিয়া অলরাউন্ডার অ্যাশটন টার্নার বলেছিলেন খেলার গভীরে গিয়ে সমাধান খুঁজছেন তারা। তবে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি একই পরিণতি সফরকারীদের। পরিকল্পনা মাফিক এগিয়েও টাইগার থাবায় বিধ্বস্ত ক্যাঙ্গারুরা। পেন্ডুলামের মত দুলতে থাকা ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ১০ রানে হারিয়ে ২ ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত বাংলাদেশের।
নতুন খবর হচ্ছে, দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের টি-২০ সিরিজ জয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়, কোচ ও ম্যানেজারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অস্ট্রেলিয়ার সাথে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়লো বাংলার টাইগাররা। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে টান টান উত্তেজনার ম্যাচে ১০ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। স্নায়ু শক্ত রেখে দারুণ বোলিং পারফরম্যান্সে অস্ট্রেলিয়াকে রুখে দিয়ে সিরিজ জিতে নিয়েছে টাইগাররা।
দুই ম্যাচ জিতে সিরিজে এগিয়ে থেকে সিরিজ জিতে নেয়ার সুযোগ সামনে দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছে বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১২৮ রানের টার্গেট দেয় বাংলাদেশ। রান তাড়া করতে নেমে মুস্তাফিজের মোহ জাগানিয়া বোলিংয়ে সেই রান টপকে যেতে পারেনি অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারা।
ব্যাটিংয়ে নেমে নাসুমের আঘাতে শুরুতেই বিপদে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। মাত্র ১ রান করে নাসুমের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে যান ম্যাথু ওয়েড। কিন্তু এই ধাক্কা সামলে নেন দুই অস্ট্রেলিয়ান মিচেল মার্শ এবং দলে সুযোগ পাওয়া বেন বেন ম্যাকডারমট। দুইজন মিলে গড়েন ৬৯ রানের জুটি। ম্যাচ থেকে অনেকটাই দূরে সরে যায় বাংলাদেশ।
১৩ তম ওভারে বলে ফেরেন মুস্তাফিজ। ফিরেই চাপে ফেলেন অজিদের। তার বলে মিচেল মার্শ একবার ক্যাচ তুলে দিলেও সেই ক্যাচ মিস করে বাংলাদেশের ম্যাচে ফেরার আশা নষ্ট করেন শরিফুল। তবে তার পরের ওভারেই বলে এসে এসে বেন ম্যাকডারমটকে বোল্ড করে সাকিব এই জুটি ভাঙেন।
এরপরপরই খেলায় ফেরে বাংলাদেশ। ক্রিজে নামা নতুন ব্যাটসম্যান হেনরিকসকে স্লোয়ারে ফেরান শরিফুল। তখনও ক্রিজে ছিলেন অভিজ্ঞ মিচেল মার্শ। নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে টেনে নিয়ে যান সামনে থেকে। অজিদের সামনে থেকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। বে তাকে ম্যাচ শেষ পর্যন্ত নিয়ে যেতে দেননি শরিফুল। ৫১ রান করা মিচেল মার্শকে ক্যাচের ফাঁদে ফেলে নিজের শিকারে পরিণত করেন শরিফুল।
ম্যাচের শেষদিকে এসে মুস্তাফিজ তার স্বভাবসুলভ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে কাবু করেন অস্ট্রেলিয়াকে। শেষ দুই ওভারে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল ২৩ রান। মুস্তাফিজ ১৯ তম ওভারে মাত্র ১ রান দিয়ে সহজ করে দেন বাংলাদেশের জয়।