স্বামীর যৌতুকের খায়েশ মেটাতে না পেরে ঘর ছাড়া ব্যাংকার স্ত্রী!

আইন-অপরাধ আরো খুলনা সারাদেশ
শেয়ার করুন...

বিল্লাল হোসেন, যশোর থেকেঃ
স্বামীকে ২০ লাখ টাকা ও সাত ভরি সোনা দিয়েও যৌতুকের কারণে সংসার করতে পারছেন না যশোরের এক নারী ব্যাংকার। যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হয়ে শিশু সন্তানকে নিয়ে তিনি ঘুরছেন দারে দারে।

পরে বাধ্য হয়ে তিনি সোমবার স্বামীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতে মামলা করেছেন।

ভুক্তভোগী ব্যাংকার মিরাজুন নাহার শহরের পুরাতন কসবার মৃত আব্দুল জলিলের মেয়ে।
অভিযুক্ত স্বামী মাহাদি হাসান লোন অফিস পাড়ার মৃত কামরান হাসান ভিটুর ছেলে। বিচারক গোলাম কবির অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর তাদের বিয়ের হয়। বিয়ের সময় ঋণ নিয়ে বিভিন্ন খরচবাবাদ বরপক্ষকে নগদ ২০ লাখ টাকা ও সাত ভরি স্বর্ণের গহন উপঢৌকন দেয়া হয়। এছাড়া, মোটরসাইকেল, টিভি, ফ্রিজ, আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন পণ্যকিনতে মাহাদি হাসানের পিছনে সাড়ে নয় লাখ টাকা খরচ করে মিরাজুনের পরিবার। এরপর ভালোভাবেই চলে তাদের সংসার। এরমধ্যে মিরাজুনের গর্ভে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু এরমধ্যে মাহাদি ৪০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে বসেন। প্রতিবাদ করলে মাহাদি প্রায়ই মিরাজুনকে বেধরক মারপিট করে আহত করে। গত ২৫ মে আবারও টাকা চাইলে দিতে অস্বীকার করায় সন্ধ্যায় শ্বশুরবাড়িতে মিরাজুনকে হত্যার উদ্দেশ্যে পেটে সিজার অপারেশনের জায়গায় লাথি মেরে রক্তক্ষরণ করে।

মিরাজুন দাবি করেন, মাহাদি মূলত চাকরিসহ বিভিন্ন কারণে মানুষের কাছ থেকে প্রতারণা করে টাকা নেয়। এক পর্যায় যৌতুকের টাকা ছাড়া মিরাজুনকে ঘরে উঠতে দিবে না হুমকি দেয়। বর্তমানে ছোট শিশুকে নিয়ে অসহায় জীবনযাপন করছেন মিরাজুন নাহার। এ বিষয়ে সুষ্টু বিচার পেতে আদালতে দ্বারস্থ হন তিনি।


শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.