মোঃ আতিকুর রহমান, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ-
শ্রী-কৃষ্ণের ৫ হাজার ২৪৭তম শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় সুনামগঞ্জে প্রার্থনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকাল ১১টায় হিন্দু কল্যাণ ট্রাষ্ট, ধর্ম মন্ত্রনালয় সুনামগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের আয়োজনে শহরের জগন্নাথবাড়ি রোড়ের শ্রী শ্রী জগন্নাথ জিউর মন্দির প্রাঙ্গণে এ প্রার্থনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাল ট্রাষ্টি প্রকৌশলী পি কে চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সুনামগঞ্জে মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের সহকারী প্রকল্প পরিচালক রবীন আচার্য্যর সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যূয়ালে ঢাকা থেকে যুক্ত হন সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজ্ব এম এ মান্নান এমপি।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত হন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) বিজন কুমার সিংহ,হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের সচিব ডা. দিলীপ কুমার ঘোষ।
এ সময় বক্তব্য রাখেন,সুনামগঞ্জ ষোলঘরস্থ শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজ শ্রীমত স্বামী হৃদয়ানন্দ, রামকৃষ্ণ মিশনের সভাপতি ও সাবেক অধ্যক্ষ পরিমল কান্তি দে, সাধারন সম্পাদক যোগেশ্বর দাস, সুনামগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এ্যাডভোকেট বিমান কান্তি রায়, সাধারন সম্পাদক বিমল বণিক, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টার্ন ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোটেক বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, শ্রী শ্রী জগন্নাথ জিউর মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক বিজয় তালুকদার বিজু, শহরের দূর্গাবাড়ি মন্দির পরিচালনা কমিটির সুবিমল চক্রবর্তী চন্দন,জেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি এ্যাডভোকেট গৌরাঙ্গ পদ দাস,বিপ্রেশ রায় বাপ্পি, সুনামগঞ্জে মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের কম্পিউটার অপারেটর যীশু দাস,ফিল্ড সুপারভাইজার পুল্লাদ কুমার বিশ্বাস,রুবি রানী দাস ও শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজ্ব এম এ মান্নান বলেছেন,সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জেলা হচ্ছে সুনামগঞ্জ। এখানে বহুধর্মের মানুষজন যুগ যুগ ধরে সম্প্রীতির ঐতিহ্য বহন করে সকল ধর্মের মানুষের সমন্বয়ে ধর্মীর আচার অনুষ্ঠান পালন করে আসছেন। তিনি বলেন ১৯৭১ সালে পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর আগ্রাসনের কবল থেকে এই বাঙ্গালী জাতিকে আলাদা একটি ভূখন্ড উপহার দিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে তৎকালীন সময়ে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানসহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষের অংশগ্রহনে ত্রিশলাখ শহীদের আত্মবলিদান ও দু’লাখ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত আজকের এই আলাদা ভূখন্ড সোনার বাংলাদেশ।তিনি আরো বলেন স্বাধীনতার দীর্ঘ ২১ বছরে পরে দেশের আপামর জনগনের ভোটে জাতির পিতার সুযোগ্য উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় অধিষ্টিত হওয়ায় দেশ আজ বিশ্বে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হয়েছে। এই দেশে সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এই ধরাধামে যুগে যুগে শ্রীকৃষ্ণের আর্বিভাব ঘটেছে মানুষের মুক্তি ও কল্যাণের বাণী নিয়ে। তাই শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে তিনি সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পক্ষ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে শুভেচ্ছা ও কৃতঞ্জতা জানান।
পরিশেষে দেশে এই করোনাকালীন সময়ে শত প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে দেশ ও দেশের মানুষের মঙ্গল কামনা করে দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে সেই আশা ও প্রত্যাশা এবং ধর্ম নিরপেক্ষ একটি রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে দেশের সকল মানুষের সুস্থতা কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।