দিরাই-শাল্লা প্রতিনিধি: তৌফিকুর রহমান তাহের।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ যেতে না যেতেই সুনামগঞ্জের শাল্লায় বইছে উপজেলা নির্বাচনী হাওয়া। পথে ঘাটে চায়ের আড্ডা দোকানে প্রার্থীরা সালাম ও শুভেচ্ছা বিনিময়ে নিজেদের জানান দিচ্ছে যে তারা আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। ইতিমধ্যে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট অবনী মোহন দাস আওয়ামী লীগ দলীয় মার্কা ছাড়াই উপজেলা পরিষদ নিবার্চন করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। এমন ঘোষণার পর নড়েচড়ে বসেছে শাল্লা উপজেলাবাসী।ঘোষণা দিচ্ছে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট দিপু রঞ্জন দাস ও এসএম শামীম উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবে বলে শুনা যাচ্ছে।
সাধারণ মানুষের মধ্যেও চলছে কে প্রার্থী হবেন এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনার তুমুল মতান্তর খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ জেলায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাই বেশি এগিয়ে রয়েছেন। জানা গেছে সকল প্রার্থীরা পরিচিতি ও নিজেকে সুন্দর উপস্থাপন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নিজের ক্যারিয়ার আর ইমেজে দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশে থেকে তাদের মনে জায়গা করে নিতে চেষ্টা করছেন। তারা নেতাকর্মী ও শুভাকাক্সক্ষীদের অনুরোধ করছেন।তিনি তার ব্যক্তিগত ইমেজকে এই নির্বাচনে কাজে লাগাতে চান বলে শোনা যাচ্ছে। আরও শোনা যাচ্ছে এই উপজেলায় তার নিজস্ব ভোট ব্যাংক রয়েছে।তৃণমূল পর্যায়ের ভোট আমাকেই দিবে বলে জানান তিনি।
তিনিও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। এই উপজেলার সকল এলাকার মানুষের সাথেও তার একটা সখ্যতা রয়েছে। আরও জানা গেছে, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সম্মানিত সদস্য। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন। তিনি শাল্লার বিভিন্ন গ্রামের মানুষের সাথে মতবিনিময় সভা চালিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বিষয় নিয়ে আলাপ চারিতায় বলেন, যেহেতু দলীয় মার্কা বা প্রতীক থাকছে না। সুতরাং যিনি সাধারণ ভোটারদের কাছে টানতে পারবেন তিনি নির্বাচিত হবেন। নতুন ভোটার সৌরভ সমাজপতি নামে এক কলেজ পড়ুয়া ছাত্র বলেন, সৎ যোগ্য ও পরিচ্ছন্ন আওয়ামীলীগের ব্যক্তিকে ভোট দিবেন। আর প্রার্থীরা সকলেই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। তবে দলীয় মার্কা বা প্রতীক বিহীন নির্বাচনে অধিকাংশ মানুষ এডভোকেট অবনী মোহন দাসকে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে ধারণা করছেন।
জানা গেছে আগামী ৪মে ১ম ধাপে দিরাই-শাল্লা অনুষ্ঠিত হবে উপজেলা পরিষদ নিবার্চন। তবে সরকারের সিদ্বান্তে এবার উপজেলা পরিষদ নিবার্চনে কোনো দলীয় প্রতীক না থাকায় সরকারি দলের একাধিক প্রার্থী নিবার্চনে অংশগ্রহণ করবে বলে গুঞ্জন চলছে নিবার্চনি মাঠে।বিএনপির অনেক কর্মীর মুখে বিএনপির উপজেলার সভাপতি গুনেন্দ্র চন্দ্র সরকারের নাম শুনা যাচ্ছে।