রাঙ্গামাটি প্রতিনিধিঃ
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে বজ্রপাতে অনার্স ১ম বর্ষের ক ছাত্র অর্কো চাকমা নামে এক কলেজ ছাত্র নিহত হওয়ার একদিন পর মঙ্গলবার (১৪ জুন) দুপুরে আবারো বাঘাইছড়ি খেদারমারা এলাকায় বজ্রপাতে ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী রুপশি চাকমা নিহত। এসময় ছাত্রীর মা অনিতা চাকমা আহত।
জানা গেছে, বাঘাইছড়িতে মঙ্গলবার (১৪ জুন) দূপুর আনুঃ ২টার দিকে হঠাৎ বজ্রপাতে খেদারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ ম শ্রনীর ছাত্রী রুপসী চাকমা নিহত হয়। এসময় তার মা অনিতা চাকমা আহত হয়েছে। তার পিতা নাম-পুলিন বিহারী চাকমা। বাঘাইছড়ি উপজেলার খেদারমারা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বড় দূরছড়ি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
খেদারমারা ইউপি চেয়ারম্যান বিটু চাকমা জানান, তারা মা-মেয়ে ভাত খাবার সময়ে বাড়ীর আঙ্গীনার গাছে পড়া বজ্রপাতটি ছিটকে বাড়িতে পড়লে এই হতাহতের দূর্ঘটনা ঘটে।
এদিকে, সোমবার (১৩ জুন) সন্ধ্যায় বাঘাইছড়ি উপজেলার সারোয়াতলী ইউনিয়নের উত্তর হিরারচর গ্রামে বজ্রপাতে অর্কো চাকমা নামে অনার্স ১ম বর্ষের ক ছাত্র নিহত হয়েছে।
নিহত অর্কো চাকমা রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগে অনার্স ১ম বর্ষে অধ্যয়নরত।সে হিরারচর গ্রামের মিহির কান্তি চাকমার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার দুর্গম সারোয়াতলী ইউনিয়নে ঝড়ো বাতাসের সাথে বজ্রপাত হচ্ছিলো। এমন সময় অর্ক তার বাড়ির অদূরে স্বজনের বাড়ি থেকে পূর্বহিরাচর গ্রামের নিজ বাড়িতে ফেরার পথে হঠাৎ বজ্রপাতে তিনি মারা যান।
অর্কো চাকমার বন্ধু পিয়াল চাকমা জানায়, সন্ধায় বাড়িতে ফেরার পথে হঠাৎ বজ্রপাত হলে সে জ্ঞান হারায়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় আমি মর্মাহত হয়েছি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অর্কো চাকমার ও ছাত্রী রুপসী চাকমার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।