প্রথমবার বেসরকারিভাবে পর্যটকবাহী জাহাজ ঢাকা-কলকাতার উদ্দেশে যাত্রা করেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় খুলনার কয়রার আটিংহারায় ইমিগ্রেশন শেষে নৌরুটে ৪৬ জন পর্যটক নিয়ে রাজারহাট-সি জাহাজটি যাত্রা শুরু করে
রায়মঙ্গল ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ এস এম সাজ্জাত হোসেন বলেন, ‘প্রথমবার ম্যানুয়ালি ইমিগ্রেশন করা হয়েছে। তবে এ চেকপোস্টে জনবল কম থাকায় ইমিগ্রেশনে কিছুটা সময় লেগেছে। যদি এয়ারপোর্টের মতো জনবল বাড়িয়ে সিস্টেম আপডেট করা যায় তাহলে ইমিগ্রেশন স্বল্প সময়ে সহজ হবে।’
জাহাজ সংশ্লিষ্টরা জানান, বিকেল নাগাদ নৌযানটি কলকাতায় পৌঁছাবে। কলকাতা থেকে আবার ঢাকার উদ্দেশে জাহাজ ছাড়বে ৪ ডিসেম্বর।
এমকে শিপিং কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘ঢাকা থেকে দ্বিতীয় ট্রিপ রওনা হবে ১৪ ডিসেম্বর। এ যাত্রা সফল হলে ঢাকা থেকে কলকাতায় নিয়মিত পর্যটকবাহী জাহাজটি পরিচালনা করা হবে। ঢাকা থেকে ছেড়ে মেঘনা নদী হয়ে চাঁদপুর, বরিশাল, মোংলা ও সাতক্ষীরার সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে যাত্রীবাহী জাহাজ ঢুকবে ভারতের ২৪ পরগনা জেলায়। এরপর যা গিয়ে থামবে পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া নদীর হাওড়া ব্রিজের কাছে।
এর আগে প্রায় পাঁচ বছর পর বুধবার সকালে নারায়ণগঞ্জের মেরিঅ্যান্ডার সান ঘাট থেকে কলকাতার উদ্দেশে যাত্রা করে রাজারহাট।
এমভি রাজারহাট-সি নামের তিনতলা জাহাজটির পুরোটাতেই রয়েছে কেবিন। নিচতলায় তুলনামূলক কম ভাড়ার স্লিপার রুম। প্রতিটিতে থাকতে পারবেন চারজন। আর দুই ও তিন তলায় থাকছে প্রিমিয়াম, ভিআইপি এবং ডাবল ও সিঙ্গেল কেবিন।
পাঁচ বছর পর বেসরকারি উদ্যোগে চালু হচ্ছে এই রুটে নৌ-চলাচল। আগামী বুধবার সকালে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে শুরু হচ্ছে আনুষ্ঠানিক যাত্রা। ১ ডিসেম্বর কলকাতা পৌঁছাবে এমভি রাজারহাট-সি, ফিরতি যাত্রা ৪ ডিসেম্বর। এতে জনপ্রতি সর্বনিম্ন ভাড়া ৬ হাজার টাকা। ইমিগ্রেশন হবে দেশের আংটিহারা ও পশ্চিমবঙ্গের হেমনগরে।
’
কর্তৃপক্ষ বলছে, দেশের নৌ পর্যটন বিকাশে বড় ভূমিকা রাখবে এই নৌ চলাচল। সফল হলে বাড়ানো হবে যাত্রাও। আপাতত মাসে দুবার চলবে এই জাহাজ।