ভারী বৃষ্টির কারণে তলিয়ে গেছে শতাধিক ধানের জমি

আববাওয়া আবহাওয়া কৃষি রংপুর সারাদেশ
শেয়ার করুন...

মোঃ এনামুল হক (বিপ্লব) রাজারহাট থেকেঃ রাজারহাট উপজেলার সাত ইউনিয়নের আবাদী জমির উঠতি বোরো ধান ভারী বৃষ্টির কারনে তলিয়ে গেছে। সোমবার(১৬ই মে) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার রাজারহাট ইউনিয়নের ইটাকুড়ির বিল, বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের দুর্লভ কুঠি , নাজিম খান ইউনিয়নের শেখ পাড়া, বাছড়া, চাকিরপশার ফুল খাঁর চাকলা, খুলিয়াতাড়ি, আমতলী, ছিনাই ইউনিয়নের শিংগীমারী, ঘড়িয়াল ডাঙ্গার কোটেশ্বর বিল, উমর মজিদ ইউনিয়নের কৈকুড়ীর দলা,নওদাবশ,ঘুমারু গ্রামের ফসলিমাঠ গুলো বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে।
কৃষকরা জানায় বোরো ধানের এবার বাম্পার ফলন হয়েছে কিন্তু এলাকায় ভারী বৃষ্টির কারনে বোরো পাকা ধান তলিয়ে গেছে। ধান কাটার আধুনিক যন্ত্র পর্যাপ্ত না থাকা ও ধান কাটা শ্রমিক সংকটে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়ে শ্রমিক সংকটের কারনে অনেক কৃষক পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিজেরাই ধান কাটা শুরু করেছে।
রাজারহাট ইউনিয়নের পুঁটিকাটা গ্রামের কৃষক আলমগীর জানান, ৭ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপন করেছি। আবাদ হয়েছে ভাল। হটাৎ ভারী বৃষ্টির কারনে ধান ক্ষেত গুলো তলিয়ে যায়। এমনিতেই শ্রমিক সংকট আবার ধান ক্ষেতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা এজন্য বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে তবুও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না।
উমর মজিদ ইউনিয়নের মন্ডল পাড়া গ্রামের কৃষক জয়নুল আবেদীন জানান, ২৫ শতাংশ জমির ধান কাটতে ৪ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে। ধান কাটা শ্রমিক না থাকায় কোমর পরিমান পানিতে দু- একটা দিনমুজুর আর ছোট ছোট ছেলেদের নিয়ে ধান কাটতে হচ্ছে।
কৃষক রহমান বলেন, ভারী বৃষ্টির কারনে ধান ক্ষেত তলিয়ে যাচ্ছে ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। নিজেরাই ধান কাটতে বাধ্য হয়েছি। ধান ক্ষেতে কোমর পরিমান পানি থাকায় চার পাঁচটি কলা গাছ এক সঙ্গে বেঁধে ভেলা সাজিয়ে ধানের আঠি নিয়ে আসতে হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদফতর সুত্রে জানা যায়, উপজেলায় বোরো মৌসুমে প্রায় ১১ হাজার ৭শত ৭০ হেক্টরের বেশীতে এবার বোরো আবাদ হয়েছে। রাজারহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সম্পা আক্তার বলেন, দ্রুত ধান কাটার পরামর্শ দেয়া হয়েছে কৃষকদের। ৪ টি হারভেস্টার দিয়ে ধান কেটে ঘরে তোলার চেষ্টা করছে।


শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.