বুধবার থেকে সারা দেশে শুরু হচ্ছে ষষ্ঠ জনশুমারি কার্যক্রম

জাতীয় তথ্য প্রযুক্তি
শেয়ার করুন...

আগামীকাল বুধবার (১৫) থেকে শুরু হচ্ছে ষষ্ঠ ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২’ কার্যক্রম। সপ্তাহব্যাপী এ কার্যক্রম আগামী ২১ জুন শেষ হবে। এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। জনশুমারি ও গৃহগণনা অধিকতর ফলপ্রসূ ও সফল করতে গতকাল সোমবার (১৩ জুন) বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে তারা। এতে বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদক, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং সরকারের সাবেক ও বর্তমান ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে এই মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন : পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম, দৈনিক ইত্তেফাক ও পাক্ষিক অনন্যার সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, আজকের পত্রিকার সম্পাদক ড. গোলাম রহমান, ডিবিসি নিউজের প্রধান সম্পাদক মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম, এটিএন বাংলার প্রধান নির্বাহী সম্পাদক জ ই মামুন, ঢাবির পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক শাহাদাত হোসেন, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্হাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক তাজুল ইসলাম, জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পের পরিচালক দিলদার হোসেন প্রমুখ।

সভায় প্রকল্প পরিচালক দিলদার হোসেন জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় ১৯৭৪ সালে প্রথম আদমশুমারি ও গৃহগণনা পরিচালিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১০ বছর পরপর ১৯৮১, ১৯৯১, ২০০১ এবং ২০১১ সালে যথাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম আদমশুমারি ও গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হয়। এই জনশুমারি ও গৃহগণনার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে—জনসংখ্যা ও দেশের বাসগৃহের সংখ্যা নিরূপণ এবং দেশের সার্বিক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ। সহজ ও সুনির্দিষ্টভাবে শুমারির গণনা এলাকা চিহ্নিতকরণ এবং কোনো খানা গণনা থেকে বাদ না পড়া বা একাধিকবার গণনা না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআইএস) ও জিও কোড সমন্বয় করে ডিজিটাল ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে।

আলোচনা শেষে উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তর পর্বে কয়েক জন প্রশ্ন করেন, কেউ এই গণনা থেকে বাদ পড়লে তিনি কীভাবে অভিযোগ করবেন? এ বিষয়ে পরিসংখ্যান ব্যুরো জানায়, এ জন্য নির্দিষ্ট হটলাইনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যে কেউ চাইলে সেখানে অভিযোগ দিতে পারবে। এছাড়া তথ্য যাচাই কীভাবে করা হবে—এমন প্রশ্নে জানানো হয়, তথ্য পুরোপুরি যাচাই করার সুযোগ কম। কারণ এটি একটি পরিসংখ্যান। তবে আশা করছি, সবাই এ ব্যাপারে সহযোগিতা করবে।

ডাটা কালেক্টর নিয়োগ সম্পর্কে জানানো হয়, প্রত্যেক উপজেলায় লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে স্হানীয়দের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যেন সহজে সবাই ঘরে ঘরে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, আমরা প্রথম থেকেই বিভিন্ন শ্রেণির নাগরিক সমাজকে এ কাজে সম্পৃক্ত করেছি।


শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.