রাহাদ সুমন,বানারীপাড়া(বরিশাল) প্রতিনিধি॥ মাতৃ প্রসূতি সেবায় জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার অর্জন করা বরিশালের বানারীপাড়ায় ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যানেস্থেসিয়া চিকিৎসক না থাকায় গত প্রায় ৩ মাস ধরে প্রসূতির সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ রয়েছে। অনেস্থেসিয়ার পাশাপাশি গাইনী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদটিও শূণ্য হওয়ার ফলে প্রসূতির সিজারিয়ান অপারেশনসহ চিকিৎসাসেবা চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে। জানা গেছে,গত বছরের নভেম্বর মাসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যানেস্থেসিয়া (অবস) ডা. মো.আমিনুর রহমান বদলী হয়ে যান। ফলে সেই থেকে প্রায় ৩ মাস ধরে প্রসূতির সিজারিয়ানসহ সবধরণের জটিল অপারেশন বন্ধ রয়েছে। এছাড়া গত সপ্তাহে জুনিয়র গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা.ইসরাত শারমিন অন্যত্র বদলী হয়ে যাওয়ায় প্রসূতি চিকিৎসাসেবা ব্যহত হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যানেস্থেসিয়া ও গাইনী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় প্রসূতি রোগীরা চিকিৎসা সেবা পেতে বানারীপাড়া,পাশর্^বর্তী স্বরূপকাঠি উপজেলা ও বরিশাল শহরের প্রাইভেট ক্লিনিকমুখী হচ্ছেন। আবার অনেকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও স্বরূপকাঠি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন। এতে রোগীদের অধিক চিকিৎসা ব্যয় বহনসহ চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে দরিদ্র রোগীদের ভোগান্তীর শেষ নেই। হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, গত এক বছরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১৩জন প্রসূতির সিজারিয়ান অপারেশন ও ৬৩১ জনের নরমাল ডেলিভারী হয়েছে। এ এক বছরের মধ্যে দীর্ঘদিন অ্যানেস্থেসিয়া চিকিৎসক না থাকায় সিজারিয়ান অপারেশন করা সম্ভব হয়নি। তা না হলে সিজারিয়ান অপারেশন দ্বিগুনেরও বেশী হত। এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মো.ফকরুল ইসলাম মৃধা বলেন, প্রসূতি রোগীদের চিকিৎসাসেবা নির্বিঘœ করতে জরুরী ভিত্তিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যানেস্থেসিয়া ও গাইনী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পদায়ন করা প্রয়োজন।
