বরুড়ায় বাড়ির চারপাশে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে করছিলেন জমজমাট মাদক ব্যবসা তবুও হলো না শেষ রক্ষা। কুমিল্লার বরুড়ায় সুচতুর এক মাদক কারবারি অবশেষে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে ৫ লক্ষাধিক টাকার মাদক সহ আটক করেছে সুচতুর মাদক কারবারি প্রশাসনের উপস্থিতি আগে থেকেই জানতে বাড়ির চারপাশে লাগিয়েছেন বেশকিছু সিসি ক্যামেরা, তবুও শেষ রক্ষা হলো না।
কুমিল্লা বরুড়া উপজেলার ঝলমে মাদক কারবারি মনির হোসেন পালিয়ে গেলেও ১৮শতাধিক পিস ইয়াবা এবং ৫ শত গ্রাম গাঁজা সহ কুমিল্লা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের হাতে মাদক কারবারির স্ত্রী জেসমিন কে আটক করে পুলিশ।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান ও বরুড়া উপজেলা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ এর নেতৃত্বে মঙ্গলবার ১৫ই ফেব্রুয়ারী ভোরে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়।অভিযানে বরুড়া উপজেলার ঝলম গাছতলা বাড়ি এলাকার মাদক কারবারি মনির হোসেনের বসত ঘরে এ অভিযান চালায় টাস্কফোর্স সদস্যরা।
বাড়ির বাইরে লাগানো সি সি ক্যামেরায় প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে আগেই পালিয়ে যায় মাদক কারবারি মনির হোসেন। তবে এসময় মাদক বিরোধী টাস্কফোর্স সদস্যরা মনিরের ঘর থেকে ১৮১৫ পিস ইয়াবা ও ৫০০ গ্রাম গাঁজা এবং সেই সাথে মাদক কারবারে ব্যবহৃত ২টি সিসিটিভি ক্যামেরা ও মনিটর সহ মনিরের স্ত্রী মোসাঃ জেসমিন কে হাতেনাতে আটক করে।
জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান জানান, মুল হোতা মনির হেসেন টাস্কফোর্স টিমের গতিবিধি সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করে পালিয়ে যাওয়ায় এসময় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয় নি । তিনি আরো জানান, বেশকিছু দিন ধরেই বিভিন্ন কৌশলে এলাকায় মাদক করবার করে এসেছিল মনির ও তার স্ত্রী।
মাদক বিরোধী বিশেষ এ অভিযানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কুমিল্লা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এসআই রূপন কান্তি পাল, এসআই মোঃ মুরাদ হোসেন সহ অন্যান্য বিভাগীয় সদস্যগণ অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও স্থানীয় পুলিশফোর্স এবং আনসার ভিডিপির সদস্যগণ টাস্কফোর্সের এ অভিযানে সহায়তা করে।
আটককৃত মাদকের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫লক্ষাধিক টাকা। আসামীদের বিরুদ্ধে এসআই রূপন কান্তি পাল বাদী হয়ে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেছেন বলে জানায় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। মাদকের বিরুদ্ধে এমন অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান অধিদপ্তরের জেলা সহকারী পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান।