“ফয়জারের পোড়া চা” নামে খ্যাত গাইবান্ধা শহর থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দক্ষিণে বোয়ালি ইউনিয়নের মধ্য রাধাগোবিন্দপুর এলাকায় আলোচনায় ভাসছে এক চায়ের স্টল। চায়ের স্টলের মালিক ফয়জার মিয়া, যার নামানুসারে এই চায়ের পরিচয়।
দৈনিক প্রায় ১৫ মন দুধ, আধা মনের চা পাতা, এক মনের বেশি চিনি, ৭ মন মালাই করে দিনে ঠিক কত কাপ চা বিক্রি করেন ফয়জার মিয়া তার কাছে সেই হিসাব থাকে না।
মাটির পাত্র পুড়িয়ে ঘন দুধ দিয়ে তৈরি হয় এই চা। একদিকে গনগনে আগুনে পুড়ছে ছোট ছোট মাটির ভার, অন্যদিকে বড় বড় পাত্রে পোড়ানো হয় গরুর দুধ, চিনি আর চা পাতা। পুড়তে পুড়তে দুধের পরিমাণ কমিয়ে এলে শুরু হয় চা তৈরির প্রক্রিয়া।
কিন্তু কিছু কিছু গ্রাহক অভিযোগ করছে যে, ফয়জারের চায়ে আগের মত স্বাদ আর পাচ্ছে না। এমনকি ৫ টাকার চা ও ফয়জারের ২৫ টাকার চায়ের মধ্যে তেমন তফাৎ দেখতে পাচ্ছেনা চা গ্রাহকরা। সেই সাথে প্রায় এক বছর আগে যে মানের কাপে করে চা দেওয়া হতো সেই কাপ পরিবর্তন করে নিম্নমানের মাটির পাত্রে পরিবেশন হচ্ছে চা।
অথচ এক বছর যেতে না যেতেই বেড়েছে চায়ের অতিরিক্ত মূল্য। সেইসাথে রূপ হারিয়েছে চায়ের স্বাদ।
অপরদিকে ফয়জার মিয়া দাবি করছেন তার চায়ের গন্ধ যারা একবার পেয়েছে তারা বারবার ফিরে আসে।