মিন্টু ইসলাম শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) নির্বাচনী আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী ৪ প্রার্থী জামানত হারালেন। রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বগুড়া-৫ আসনের ১৮৮টি কেন্দ্র কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। গণনা শেষে রাত ১১টার দিকে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার সাইফুল ইসলাম ফলাফল ঘোষণা করেন। জামানত বাজেয়াপ্ত প্রার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী মো. মামুনুর রশিদ, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল(জাসদ ইনু) প্রার্থী মো. রাসেল মাহমুদ, ইসলামী ঐক্যজোট প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ন্যাশনালিষ্ট ফ্রন্ট(বিএনএফ) প্রার্থী মো. আলী আসলাম হোসেন রাসেল জামানতের অর্থ হারালেন।
নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা অনুযায়ী কোনো প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে মোট বৈধ ভোটের (কাস্টিং ভোট) আট ভাগের এক ভাগ থেকে অন্তত একটি ভোট বেশি পেতে হবে।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ঘোষিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে জানা যায়, বগুড়া-৫ (শেরপুর ও ধুনট উপজেলা) আসনে ৫ লাখ ৪০ হাজার ৬৮ জন ভোটারের মধ্যে ২লাখ ১২ হাজার ৫৬৬ জন ভোট প্রদান করেন। এই আসনে আওয়ামী মনোনীত প্রার্থী মজিবর রহমান মজনু নৌকা প্রতিক নিয়ে ১ লাখ ৯৮ হাজার ১৫৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তবে নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা অনুযায়ী এ আসনে প্রাপ্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট অনুযায়ী ২৬ হাজার ৫৭১ ভোট পাওয়ার কথা। কিন্তু তারা সে হিসেবে ইসলামী ঐক্যজোটের মো. নজরুল ইসলাম (মিনার) প্রতিকে পেয়েছেন ৪ হাজার ১০৫ , জাসদ প্রার্থী রাসেল মাহমুদ (মশাল) প্রতিকে পেয়েছেন ১ হাজার ০৬ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মামুনুর রশিদ (ডাব) প্রতিকে পেয়েছেন ২ হাজার ৪২৫ ভোট, বিএনএফের প্রার্থী আলী আসলাম হোসেন রাসেল (টেলিভিশন)প্রতিকে পেয়েছেন ২ হাজার ১৯১ ভোট পাওয়ায় তাদের জামানত বাতিলযোগ্য হবে বলে শেরপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসার এসএম জাকির হোসেন জানিয়েছেন।
বগুড়ার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান জানিয়েছেন, নির্বাচনী বিধিমালা অনুযায়ী প্রতিটি আসনে মোট প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট না পেলে তার জামানত ফিরে পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।