মিন্টু ইসলাম শেরপুর বগুড়া প্রতিনিধি: বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতিতে মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন চাল ও তরিতরকারির দাম এখনো ক্রেতাদের সহনীয় পর্যায়ে আসেনি। অদ্য ১৯ আগস্ট সোমবার সরেজমিনে সকাল বাজার ও শেরপুর বারদুয়ারী হাটে গিয়ে দেখা যায় মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম এখনো আগের মতোই রয়েছে। হাটখোলার ব্যবসায়ী আলামিন হোসেন বলেন কাঁচামালের দাম এখনো আগের মতোই আছে, কারণ পাইকারী বাজারে দাম কমেনি এখনো। আজকের হাট-বাজার অনুযায়ী খুচরা ব্যাবসায়ীদের তরিতরকারি দামগুলো হলো যেমন আলু ৫৫ টাকা কেজি,পিয়াজ ১০৫ টাকা কেজি, রসুন ২৪০ টাকা কেজি, কাঁচামরিচ ২৪০ টাকা কেজি, আদা ৩২০ টাকা কেজি, কচুর মুখি ৫০ টাকা কেজি, বেগুন ৮০ টাকা কেজি, করলা ৭৫ টাকা কেজি, ঢেড়স ৪০ টাকা কেজি, পটল ৪০ টাকা কেজি, মুলা ৫০ টাকা কেজি, কাকরোল ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। শেরপুর হাটে চালের দাম পারিজাম চিকন চাল থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে, মোটা চাল আটাশ ৫২ টাকা কেজি ও উনত্তিশ চাল ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন চাল ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম। জানা যায়, দুই একটি পন্যের দাম কমলেও বাকি পন্যগুলোর দাম আগের মতোই। তবে এই বাজার মুল্য অপরিবর্তিত থাকার কারণে বাজার মনিটরিং করতে ছাত্রসমাজ কাজ করলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান এখনো শুরু হয়নি ফলে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা এই সময়ে দ্রব্যমূল্যের দাম কমাতে কাজ করছেনা বলে জানান হাটে আগত ক্রেতারা। এই পরিস্থিতিতে বগুড়া শেরপুরবাসী তথা দেশের আপামর জনসাধারণের চাওয়া দাম কমবেই।
কেননা গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার বিজয় অর্জন করলে জনসাধারণের মুখে হাসি দেখা যায়। এসময় থেকে নিম্ন মধ্যবিত্তদের আশা দ্রব্যের বাজার স্থিতিশীল হবে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে সকল পন্যের দাম থাকবে। এজন্য প্রয়োজন সকলের প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশপ্রেমের টানে উজ্জীবিত হয়ে দ্রব্যমূল্যের দাম মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে একযোগে কাজ করা প্রশাসনসহ প্রকৃত ব্যবসায়ী ও নেতাদের। তাহলেই স্বস্তিতে এবং শান্তিতে থাকবে দেশের সাধারণ ও নিম্ন আয়ের মানুষ।