সেলিম চৌধুরী হীরাঃ আমি বাচঁতে চাই না, আমি মরতেই চাই, আমার মৃত্যুর জন্য আমার স্বামীই দায়ী’ এমন চিরকুট লিখে নিজ ঘরে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন দুই সন্তানের জননী নাজমা আক্তার (৩০)।
রোববার সন্ধ্যায় লাকসাম পৌরশহরে পশ্চিমগাঁও উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন প্রফেসর মতিন’র বাড়ি নিচ তলার ভাড়াটিয়া মাজমা আক্তারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, নিহত গৃহবধূ নাজমা আক্তার পার্শ্ববর্তী মনোহরগঞ্জ উপজেলার সরেসপুর ইউনিয়নের গোপালপাড়া গ্রামের মৃত রোওউশন আলী মেয়ে ও একই গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে প্রবাসী নাছির উদ্দীনের স্ত্রী।
স্বামী বিদেশ থাকায় দুই সন্তান নিয়ে নাজমা গত কয়েক বছর ধরে লাকসাম পৌরশহরে পশ্চিঁমগাও এলাকায় ভাড়া বাসায় নিয়ে থাকতেন।
সূত্র গুলো আরো জানায়, লাকসাম পৌরশহরে পশ্চিঁমগাও এলাকায় আবদুল মতিন প্রফেসরের ৪তলা ভবনের নিচ তালায় ভাড়া থাকতেন নাজমা আক্তার। দুই দিন আগে বড় ছেলে নাহিদ (৭) নানার বাড়ির মনোহরগঞ্জে যান। রোববার ছোট ছেলে নাফিজকে (৪) সঙ্গে নিয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে শোবার ঘরে যান। পরে নাজমা আক্তার তার স্বামী নাছির উদ্দীনের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন। এ সময় তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে সন্ধ্যায় ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন নাজমা। এ সময় ছোট ছেলে নাফিজের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে নাজমাকে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়।
খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। এ সময় তার হাতে থাকা চিরকুটটিও উদ্ধার করে।
লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, গৃহবধূর আত্মহত্যার খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়েছি। প্রাথমিক নমুনা দেখে এটিকে আত্মহত্যা বলেই মনে হয়েছে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।