বৃহস্পতিবার ( ১০ ডিসেম্বর) বসতে পারে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সর্বশেষ স্প্যানটি। এরফলে ৪১ স্প্যানে দৃশ্যমান হবে পুরো পদ্মা সেতু। এরই মধ্যে পদ্মা সেতুর শেষ স্প্যানটিকে ১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটির কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ৪১তম স্প্যানটি পৌঁছানোর মধ্য দিয়ে ইয়ার্ডে সেতুর স্প্যান সংশ্লিষ্ট কাজ শেষ হলো।
২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর জাজিরা প্রান্তের ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে বসানো হয় সেতুর প্রথম স্প্যান। আর ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার মাওয়া প্রান্তের ১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটির ওপর সেতুর সর্বশেষ তথা ৪১তম স্প্যান বসানো হবে বলে জানান পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক সফিকুল ইসলাম।
করোনার কারণে আনুষ্ঠানিকতা নেই, তবু এর মধ্যে মাওয়ার কুমারভোগ ইয়ার্ডে সাজিয়ে তোলা হয়েছে স্বপ্নের সেতুর সবশেষ স্প্যানটি। চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানি করছে সেতুর কাজ। স্প্যানের দুই পাশে তাই বাংলাদেশ ও চীনের জাতীয় পতাকা সেটে দেওয়া হয়েছে। দুদেশের সুসর্ম্পকের কথা উল্লেখ করা হয়েছে বড় একটি অংশ জুড়ে। স্প্যানের গায়ে লিখে রাখা হয়েছে, যে শ্রমিকদের শ্রমে-ঘামে কাজের এত অগ্রগতি, তাদের কীর্তিগাথা।
স্প্যানটির নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে। স্প্যানটি স্থাপন পর্যন্ত পদ্মা সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটি ও আশপাশ এলাকায় ফেরিসহ সব ধরনের নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। পুরো এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
স্প্যানটি বাংলাদেশ ও চীনের পতাকার রঙে সাজানো ছিল। তবে নিরাপত্তার কারণে কোনো রকম অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়নি।
মাওয়া প্রান্তে এখন ১১টি স্প্যান পাড় ছুঁয়ে দৃশ্যমান, জাজিরা প্রান্তে ২৯টি। মধ্যখানে একটি শূন্যস্থান। সেখানে ৪১তম স্প্যান বসে যাওয়ার পর মাওয়া থেকে জাজিরা একই সূতোয় মিলিত হবে। ইত্তেফাক