‘নিরাপদ হোক নগরীর পাহাড়’ এই স্লোগান কে সামনে রেখে ইপসা, সেভ দ্য চিলড্রেন এবং জিএফএফও’র উদ্যোগে ‘ঈযরষফ পবহঃবৎবফ ধহঃরপরঢ়ধঃড়ৎু ধপঃরড়হ ভড়ৎ নবঃঃবৎ ঢ়ৎবঢ়ধৎবফহবংং ড়ভ পড়সসঁহরঃরবং ধহফ ষড়পধষ রহংঃরঃঁঃরড়হং রহ ঘড়ৎঃযবৎহ ধহফ পড়ধংঃধষ ধৎবধং রহ ইধহমষধফবংয’ প্রজেক্টের আওতায় চট্টগ্রাম নগরীর হোসেন আহম্মদ চৌধুরী সিটি কর্পোরেশন স্কুল এন্ড কলেজ এবং ষোলশহর রেল স্টেশন চত্ত্বরে দুই পর্বে আজ বুধবার (১২ জুন, ২০২৪) জনসচেতনতামূলক বিশেষ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।
২০০৭ সালে ১১ জুন চট্টগ্রাম জেলায় ভয়াবহ পাহাড়ধ্বসে ১৩২ জন মানুষের মৃত্যুর মর্মান্তিক ঘটনাকে স্মরণ করে শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট পাহাড়ি এলাকায় বসবাসরত ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমে ক্যাম্পেইন কার্যক্রম শুরু করেন ইপসার প্রজেক্ট ম্যানেজার সানজিদা আক্তার। তিনি পাহাড়ের উপকারিতা, পাহাড়ধসের কারণ, প্রতিকার এবং আত্মরক্ষার কৌশল বিষয়ক একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। প্রেজেন্টেশন শেষে কুইজের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মতামত গ্রহণ করেন এবং শিশুদের মতামত কে গুরুত্ব দিয়ে এই বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে গুরুত্বারোপ করেন।
এরপর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং চসিক আরবান কমিউনিটি ভলান্টিয়ারদের পরিচালনায় শিক্ষার্থী/শিশু ও স্থানীয় জনসাধারণ কিভাবে আত্মরক্ষামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে সে বিষয়ে মহড়া এবং পাহাড়ধস থেকে সুরক্ষার দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ক্যাম্পেইন শেষে আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন হোসেন আহম্মদ সিটি কর্পোরেশন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ এস এম আহসানুল উদ্দিন, উপাধ্যক্ষ উপালী বড়ুয়া, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মিসেস দিল আফরোজ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর বায়োজিদ শাখার সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. কামরুজ্জামান, বাংলাদেশ এলায়েন্স অফ ইয়ূথ এর সদস্য সচিব সনাতন চক্রবর্তী বিজয়, ইপসার প্রজেক্ট অফিসার আতাউল হাকিম আরিফ, শাহরিয়ার আলম, নগর স্বেচ্ছাসেবক প্রতিনিধি তৌসিফ নুর, আবু বক্কর হারুণ, আবুল কাশেম প্রমুখ।
বক্তারা পাহাড়ধস থেকে শিশুদের আত্মরক্ষার এই বিশেষ ক্যাম্পেইন আয়োজনকে ব্যাতিক্রমধর্মী আখ্যায়িত করে পাহাড়ধসের ক্ষতি কমিয়ে আনার জন্য সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানান।