নওগাঁ সংবাদদাতাঃ
নওগাঁর রাণীনগরে শিহাব শেখ (১৯) নামে এক যুবককে বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট খাইয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুর ও চাচা শ্বশুরের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১ টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান যুবক শিহাব। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কুজাইল দক্ষিণপাড়া গ্রামে। নিহত শিহাব শেখ কুজাইল দক্ষিণপাড়া গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে।
নিহতের মা মর্জিনা বেগম জানান, প্রেমের সম্পর্কে গত ২১ সালের মার্চ মাসে একই গ্রামের মোজাম্মেল হোসেন মুজামের মেয়ে রিয়া খাতুন (১৫) এর সাথে বিয়ে হয় শিহাবের। বিয়ের পর থেকেই মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার কারণে তারা দুইজন এক সঙ্গে না থেকে আলাদা থাকতেন। বুধবার (২২ জুন) পরিবারের অজান্তে ছেলে শিহাব ও তার স্ত্রী রিয়া কাশিমপুর গ্রামে এক আত্মীয়র বাড়িতে ঘুড়তে যান। এরপর ঘোড়াফেরা শেষে তারা দুইজন আমাদের বাড়িতে এসে স্ত্রী রিয়ার জন্মদিন পালন করেন শিহাব। ঘটনাটি জানতে পেরে মেয়ের পরিবারের লোকজন আমাদের বাড়িতে এসে বুঝিয়ে মেয়েকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, পরের দিন বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) দুপুরে আমার অজান্তে ফুঁসলিয়ে ছেলে শিহাবকে মেয়ের পরিবারের লোকজন তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে আমি জানতে পারি আমার ছেলে শিহাব বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট খেয়েছেন। এ সময় স্থানীয় লোকজন শিহাবকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিহাবকে ভর্তি করানো হয়। রাজশাহীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১ টার দিকে মারা যায় শিহাব।
নিহতের মা মর্জিনা অভিযোগ করে বলেন, ছেলে শিহাব মারা যাওয়ার পূর্বে আমাদের জানিয়েছেন তার শ্বশুর মোজাম্মেল হোসেন মুজাম ও চাচা শ্বশুর সিদ্দিক দুইজন মিলে শিহাবকে হত্যা করার জন্য জোরপূর্বক বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট খাইয়েছেন। এঘটনাটি রাণীনগর থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। আমরা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
আনিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মোজাম্মেল হোসেন মুজাম ও সিদ্দিকের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলে বন্ধ পাওয়ায় এবং তারা দুইজন বাড়িতে না থাকায় তাদের মন্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) সেলিম রেজা বলেন, ঘটনাটি জানার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।