দূর্বার

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট ফেরি সঙ্কট; পানির নিচে পন্টুন! ঝুঁকি নিয়েই যাত্রী ও যানবাহন পারাপার

আববাওয়া আবহাওয়া আরো ঢাকা পরিবেশ সারাদেশ
শেয়ার করুন...

জহুরুল ইসলাম হালিম, রাজবাড়ী থেকেঃ পদ্মায় ৪৬ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধিতে পন্টুন পানিতে ডুবে যাওয়ায় ৭নম্বর ফেরি ঘাট বন্ধ ও ফেরি সঙ্কটের কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া প্রান্তে আজও যানবাহনের দীর্ঘ সিরিয়ালের সৃষ্টি হয়েছে।

দূর্বার

ঘাট সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গতকাল ৪ ও ৫ নম্বর ফেরিঘাট বন্ধ থাকলে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তা সচল করা হয়। কিন্ত ৭নম্বর ঘাটটির পন্টুন পানিতে ডুবে গেলেও ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন ও যাত্রী উঠানামা করছিল। তবে ঘাটটি সংস্কার করে ব্যবহার উপযোগী করার জন্য শনিবার (২১মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঘাট বন্ধ করে দেয় কতৃপক্ষ।

এদিকে ঘাট সঙ্কটের পাশাপাশি ফেরি সঙ্কটের কারণে শনিবার সকাল থেকেই ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ ফিড মিল পর্যন্ত সাড়ে ৪কিলোমিটার সড়ক জুড়ে প্রায় ৫শতাধিক যানবাহন পারের অপেক্ষায় সিরিয়ালে আটকে আছে। তবে যাত্রীবাহী যানবাহন ও পচনশীল দ্রব্যের যানবাহনগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে।

যশোর থেকে ছেড়ে আসা ঈগল পরিবহনের চালক হাফিজুর রহমানের সাথে ৭ নম্বর ফেরি ঘাটে কথা হলে বলেন, দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর ফেরির নাগাল পেলেও পন্টনের আগে পানি থাকার কারণে অনেক ঝুকি নিয়ে ফেরিতে উঠতে হয়েছে। এভাবে যাতায়ার করাটা আমাদের জন্য খুবই ঝুকিপূর্ণ বলে জানান এই চালক।

দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থাকে ফেরিতে উঠতে পেয়ে ট্রাকচালক শফিকুল ইসলাম খান বলেন, জীবনটাই এখন ট্রাকের ভেতরেই কাটিয়ে দিতে হচ্ছে, আমাদের কষ্টের কথা বলে কী লাভ, এসব বলে কোন লাভ হবে না। ঘাটে এলে ভোগান্তিতে পড়তেই হবে, তা ছাড়া বর্তমানে ঘাট পানির নিচে থাকায় গাড়ি ফেরিতে উঠতেও নিতে হচ্ছে বাড়তি জীবনের ঝুকি।

শফিকুল ইসলাম খানের মতো দৌলতদিয়া প্রান্তে নদী পার হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে পাঁচ শতাধিক যানবাহন। ফেরির নাগাল পেতে যানবাহনগুলোকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যানগুলো পার হতে সবচেয়ে বেশি সময় লাগছে। সিরিয়ালে শতাধিক যাত্রীবাহী যানবাহন থাকলেও পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যাই বেশি। ঘাট ও ফেরি স্বল্পতার কারণে দৌলতদিয়ায় যানজট তৈরি হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যাবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান জানান, ২১টি ফেরির মধ্যে ১৮টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে ৭নম্বর ফেরিঘাটটি বন্ধ করে ব্যবহার উপযোগী করার জন্য সংস্কার করা হচ্ছে। আশা করছি ঘাটটি ঠিক হলে যানজট পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।


শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.