
প্রশাসনের গাফিলতি ও নিরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন স্থানীয়দের
এম আর সজিব সুনামগঞ্জ :
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বোগলাবাজার ইউনিয়নের চিলাই নদী উত্তর বালিচড়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লি. এর আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন সরকারি জব্দকৃত গরু আত্মসাৎ মামলার অন্যতম আসামি হারুন অর রশীদ।
রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাৎ মামলার আসামি হয়েও প্রকাশ্যে নির্বাচনে অংশ নেওয়া এবং প্রশাসনের নীরব ভূমিকা স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ এপ্রিল সীমান্তবর্তী বোগলাবাজার এলাকায় সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে টাস্কফোর্স অভিযানে অবৈধভাবে ভারত থেকে আনা ৯০টি গরু জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে ওই গরুগুলো হারুন অর রশীদসহ পাঁচজনের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু কিছুদিন পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্তে গিয়ে জিম্মায় থাকা গরুগুলোর কোনো হদিস না পেয়ে আদালতকে বিষয়টি অবহিত করেন।
পরে সরকারি বাদী হয়ে সুনামগ্জ সদর থানায় ৪০৬ ও ৪২০ ধারায় মামলা (নং-০৫/২০২৫) দায়ের করা হয়। মামলার আসামিদের মধ্যে অন্যতম হারুন অর রশীদ বালিচড়া গ্রামের মৃত মরতোজ আলীর পুত্র।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, মামলার আসামি হয়েও হারুন অর রশীদ প্রশাসনের চোখের সামনেই নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। তিনি উপজেলা প্রশাসন ও থানা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এতে স্পষ্টভাবে প্রশাসনের গাফিলতি ও উদাসীনতা প্রকাশ পেয়েছে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
একজন স্থানীয় ব্যবসায়ী বলেন,রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাৎ মামলার আসামি যদি অবাধে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে, তাহলে প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়। এটা নিঃসন্দেহে প্রশাসনিক গাফিলতির বড় উদাহরণ।
এদিকে আগামী ১১ নভেম্বর চিলাই নদী উত্তর বালিচড়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির ত্রিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
স্থানীয়রা দাবি করেছেন, প্রশাসনের গাফিলতি দূর করে হারুন অর রশীদের প্রার্থীতা বাতিলসহ দ্রুত তার গ্রেফতার নিশ্চিত করতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুনামগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল কালাম বলেন,
দোয়ারাবাজার থানায় নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আসামিদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
