অনলাইন ডেস্কঃ গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৫৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকাতেই ১৫০ জন। অন্য তিনজন ঢাকা মহানগরীর বাইরে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দুই হাজার ৯৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন এক হাজার ৫২৬ জন।
বর্তমানে সারাদেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ৫৬৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকার ৪১টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৫৫৭ জন। অন্য ১১ জন ঢাকার বাইরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানায়, গতকাল পর্যন্ত চলতি বছর ডেঙ্গু সন্দেহে চারজনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। এ সময় সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী পাওয়া যাচ্ছে চলতি জুলাই মাসে। ১ থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত গত ২৮ দিনে এক হাজার ৭২৬ জন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে। গত জুন মাসে এ সংখ্যা ছিল ২৭২। এ ছাড়া প্রতি মাসেই কমবেশি মানুষ ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের ৯৯ শতাংশই রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান :এদিকে ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনই প্রতিদিন বিশেষ মশক নিধন কার্যক্রমসহ ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করছে। এসব অভিযানে যেসব ভবন বা স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা ও বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যাচ্ছে, সেসব ভবন মালিককে বিভিন্ন অঙ্কের অর্থ জরিমানা করা হচ্ছে। গতকাল বুধবারও ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে ৫১ ভবন মালিককে পাঁচ লাখ ৪৭ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা করেছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন।
গতকাল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ১০টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ৩২৯টি নির্মাণাধীন ভবন, বাসাবাড়ি ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হয়। এর মধ্যে ২৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এসব ভবন মালিকের কাছ থেকে মোট তিন লাখ ৩১ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
মোবাইল কোর্টের দায়িত্ব পালনকারী ডিএসসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মেরীনা নাজনীন বলেন, মশা নিয়ন্ত্রণে দৈনন্দিন কার্যক্রম, ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান এবং গণমাধ্যমে সচেতনতামূলক সংবাদ প্রচার অব্যাহত থাকার পরও নির্মাণাধীন ভবন ও বাসাবাড়িতে মশার লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। ডেঙ্গু মোকাবিলায় নগরবাসীকে আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
এদিকে এডিস মশার লার্ভা ও বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়ার দায়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২৭ ভবন মালিককে দুই লাখ ১৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। গতকাল ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযান চলে।
ডিএনসিসি জানায়, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন, এএসএম সফিউল আজম, আব্দুল্লাহ আল বাকী, সালেহা বিনতে সিরাজ, মাসুদ হোসেন, আবেদ আলী, পারসিয়া সুলতানা প্রিয়াংকা এসব অভিযানে নেতৃত্ব দেন। সূত্রঃ সমকাল