নিজাম উদ্দিন তজুমদ্দিন প্রতিনিধি (ভোলা)
ভোলার তজুমদ্দিনের মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অভয়াশ্রমে মাছ ধরার অপরাধে আটককৃত দু’টি নৌকার মাছ, তেল সহ বিভিন্ন মালামাল লুট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আটককৃত নৌকার মালিকরা এ বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করার পর পরই মালামাল উদ্ধারে তৎপর হয়ে উঠেছে মৎস্য অফিস। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১লা মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল দীর্ঘ দুইমাস, মেঘনা নদীর ৪টি অভয়াশ্রমে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। তার ধারাবাহিকতায় গত ৪ এপ্রিল উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমির হোসেনের নেতৃত্বে মাছ ধরার অপরাধে চরজহিরউদ্দিন সংলগ্ন মেঘনায় অভিযান চালিয়ে ৩৯ জেলেসহ ২টি নৌকা আটক করেন।
পরে রাতে নৌকা ২টি শশীগঞ্জ স্লুইজঘাটে এনে জেলেদেরকে থানায় নিয়ে আসেন প্রশাসন।
আটককৃত নৌকা ২টি মৎস্য অফিসের হেফাজতে রাখেন। আটককৃত ২টি নৌকাতে পাঙ্গাস, পোয়া ও চিংড়িসহ প্রায় ৮মন মাছ ছিলো যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৭০ হাজার টাকা, ১শত ২৮ লিটার তেল যার মূল্য ১৫ হাজার ৩৬০টাকা, গ্যাসের সিলিন্ডার, বড় নৌঙ্গর একটি, আড়াই মন মোটা রশিসহ প্রায় লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট হয় বলে জানান নৌকার মাঝিরা। অভিযোগ রয়েছে এসব জেলেরা নিষেধাজ্ঞার সময়ে নদীতে মাছ ধরে দক্ষিণ হাতিয়া টাঙ্গীমাছ ঘাটের ব্যবসায়ী ফখরুলের আড়ৎতে বিক্রি করেন। জানতে চাইলে আটক নৌকার মাঝি জাকায়েত ও রায়হান বলেন, সকাল থেকে আমরা মাছ শিকার করে মাছগুলি নৌকাতে ককসিটের মাধ্যমে বরফ দিয়ে রাখি। পরবর্তীতে মাছ ধরার প্রস্তুতি নিলে প্রশাসন আমাদেরকে আটক করে নিয়ে যায়। পরেরদিন নৌকাগুলি নিলাম দিলে দেখতে পাই আমাদের পড়নের কাপড় ছাড়া আর কোন কিছুই নেই। নৌকার সকল মালামাল কে বা কারা লুট করে নিয়ে গেছে। বিষয়টি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে জানালে তিনি মালামাল বুঝিয়ে দিবেন বললেও এখন পর্যন্ত বুঝ দেয়নি। মাঝিরা আরো জানান, আমরা স্ত্রীর স্বর্ণের গহনা বন্ধক রেখে নৌকার মালামাল ক্রয় করি। এভাবে লুট হওয়ায় আমরা এখন সর্বশান্ত। তজুমদ্দিন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমির হোসেন বলেন, নৌকা থেকে যে সব মালামাল হারিয়ে গেছে সেগুলি তারা যাতে পায় আমি সে ব্যবস্থা করবো। তবে মাছ লুটের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।