যশোর সংবাদদাতাঃ
সিরাজুল ইসলামের (৬০) সংসারে পারিবারিক অশান্তি চলে আসছিলো। ফলে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। কোন উপায় না পেয়ে সিরাজুল ইসলাম গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পিতার মৃত্যুর সংবাদ শুনে যেনো একমাত্র ছেলে সোহেল হোসেনের (৩০) মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। শোক সহ্য করতে না পেরে তিনি ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। শুক্রবার দুপুরে যশোর সদর উপজেলার সুলতানপুর মাঠ ও সুতিঘাটা রেললাইন এলাকায় ঘটনা দুটি ঘটে। পিতা ও পুত্রের আত্মহত্যার ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সুলতান গ্রামের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলামের ৩ মেয়ে ও ১ ছেলে। ইতিমধ্যে দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। বিয়ের উপযোগী এক মেয়ে রয়েছে। কিছু দিন ধরে তাদের পারিবারিক অশান্তি প্রকট হয়ে ওঠে। মন খারাপ করে বেড়াতেন সিরাজুল ইসলাম। শুক্রবার দুপুর ২ টার দিকে তিনি লেবুতলা মাঠের একটি মেহেগনি গানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। মুহুর্তে খবরটি ছড়িয়ে পড়ে। একমাত্র ছেলে সোহেল পিতার মৃত্যুর শোক সহ্য করতে পারেননি। ফলে তিনি (সোহেল) চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
চাঁদপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জানিয়েছেন, পারিবারিক কলহের জেরে সিরাজুল ইসলাম আত্মহত্যা করেন। পিতার মৃত্যুর খবরে তার একমাত্র ছেলে সোহেল ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। কি নিয়ে পারিবারিক অশান্তি তা এখনো জানা যায়নি। তবে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
রেলওয়ে পুলিশের যশোর ফাঁড়ির ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম জানান, পিতার গলায় ফাঁসে মৃত্যুর খবরে একমাত্র ছেলে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানতে পেরেছি।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য রুহুল আমিন জানান, গলায় ফাঁস ও ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যাকারী পিতা-পুত্রের মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
এদিকে, পিতা-পুত্রের আত্মহত্যার ঘটনায় সুলতানপুরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবারের সদস্যরা শোকে পাগল প্রায়।