কুমিল্লায় বেড়েই চলছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৫ জন।
রবিবার বিকাল জেলা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে সিটি করপোরেশন এলাকার পাঁচজন, নাঙ্গলকোটের দুইজন, মনোহরগঞ্জের দুইজন,বরুড়ার মুরাদনগরে,লালমাইয়ের, বুড়িচং,তিতাসের, চান্দিনায়তে একজন করে।
এ নিয়ে এখন পর্যন্ত জেলায় করোনায় ৬৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৭০১ জন নমুনা পরীক্ষা করিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৭০১ জনের দেহে ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ সময় সুস্থ হয়েছেন ২২৭ জন।
পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দেখানো হয়েছে ৪১ দশমিক ২ শতাংশ।
আক্রান্তদের মধ্যে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২২৮ জন, আদর্শ সদরের ৭ জন, সদর দক্ষিণের ৭ জন, বুড়িচংয়ের ৫২ জন, ব্রাহ্মণপাড়ার ৩৩ জন, চান্দিনার ২৮জন, চৌদ্দগ্রামের ৪৭ জন, দেবিদ্বারের ১২ জন, দাউদকান্দির ৫জন, লাকসামের ৪৬ জন, লালমাইয়ের ২৩ জন, নাঙ্গলকোটের ৩৩ জন, বরুড়ার ৬১ জন, মনোহরগঞ্জের ৩৭জন, মুরাদনগরের ৪৪জন, মেঘনার ৯ জন, তিতাসের ৪ জন এবং হোমনার ২৫ জন।
সিভিল সার্জন জানান, এ নিয়ে জেলাজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৩হাজার ৮৩০ ।
কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রেজাউল করিম জানান, চলতি সপ্তাহে হাসপাতালে রোগীদের ভিড় বেড়েছে। করোনার বরাদ্দকৃত আসনের চেয়ে অন্তত ৩০ জন বেশি ভর্তি রয়েছেন। যদি এ রকম চলতে থাকে তাহলে রোগীর চাপ সামলানো কষ্টকর হয়ে যাবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন,জেলায় করোনা সংক্রমণের হার কমাতে ও সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে প্রতিদিনই ভ্রাম্যমাণ আদালতের একাধিক অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়মিত ত্রাণও বিতরণ করা হচ্ছে।’
সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন বলেন, আমরা চেষ্টা করছি জনসচেতনতা বাড়িয়ে কীভাবে সংক্রমণ কমানো যায়। সে লক্ষ্যে প্রতিদিনই কাজ চলছে। পাশাপাশি শতভাগ টিকা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে এখন প্রয়োজন সমন্বিত প্রয়াস।