সুনামগঞ্জে টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন

তৌফিকুর রহমান সুনামগঞ্জ জেলা থেকেঃসুনামগঞ্জ সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অধিগ্রহনকৃত ভুমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের প্রতিবাদে মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সুনামগঞ্জ পৌর এলাকার সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কের পশ্চিদিকে অবস্থিত সুনামগঞ্জে সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সুনামগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের এইচএসসি শিক্ষার্থী মারুফ মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্টিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী মো.জাভেদ মিয়া,সামিউল বারী,সোনিয়া আক্তার,মাহবুবা আক্তার,লিহান আহমদ,তানিম আহমদ,আবু হামজা,রাহুল হোসেন আরাফাত,তাসলিমা বেগম,আশিকুর রহমান,রুমা আক্তার,আল আমিন,খুদেজা বেগম, সুমাইয়া,সায়েন ইসলাম ও আরিফা সুলতানা আনহা প্রমুখ।

এতে শিক্ষার্থীরা বলেন,আমাদের শিক্ষাঙ্গনের নিজস্ব জায়গায়,জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী,আমাদের প্রিন্সিপাল স্যারের অফিস কক্ষের সম্মুখে অবৈধভাবে বেআইনী স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের পরিবেশ ও সৌন্দর্য বিনষ্ট করছেন। এছাড়াও নির্মিত ঐ বেআইনী স্থাপনার পিছন (পশ্চিম) দিকে কলেজ ছাত্রাবাসের প্রস্তাবাধীন ভুমি রয়েছে। আগামীতে ছাত্রাবাস নির্মিত হলে বর্তমান এই অবৈধ স্থাপনার কারণে ভবিষ্যতে ছাত্রাবাসে যাতাযাতের মারাতœক অসুবিধা হবে।

সুনামগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল মো.রজব আলী বলেন,কলেজ শিক্ষার্থীরা কেন এবং কি কারনে ? মানব বন্ধন করেছে আমি তা জানিনা। কলেজের অধ্যক্ষ বর্তমানে ছুটিতে রয়েছেন বলে জানান তিনি।

জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.কামরুজ্জামান বলেন,আমাদের অফিসের জায়গায় স্থান সংকুলান হয়না বিধায় আমরা ইঞ্জিনিয়ারদের বসার জন্য অধ্যক্ষকের অনুমতি নিয়ে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছি। শিক্ষার্থীরা যেহেতু আপত্তি দিয়েছে সেহেতু এর নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকবে। তবে অবিষ্যতে আমরা আমাদের এই অস্থায়ী অফিস সরিয়ে নিলে আমাদের ভবনগুলো আলটিমেটলি সুনামগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের মালিকানাধীন হবে।




গাইবান্ধা জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন পলাশবাড়ী এর বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

আশরাফুজ্জামান সরকার, গাইবান্ধাঃ- গাইবান্ধা জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ রাজ-৪৯৪ এর বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার পলাশবাড়ী পৌর শহরের গাইবান্ধা রোডস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সংগঠনের সভাপতি আব্দুস সোবহান বিচ্চু’র সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজু মিয়ার পরিচালনায় বিশেষ সাধারণ সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন আহবায়ক ও বগুড়া জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল হামিদ মিটুল।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের সহকারী পরিচালক আল মুতাজিদুল ইসলাম গালিব, গাইবান্ধা জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের গাইবান্ধা সদর এর সাধারণ সম্পাদক জামিরুল ইসলাম জামিন, মোটর মালিক সমিতির সভাপতি এনামুল হক সরকার মকবুল, সাধারণ সম্পাদক শাজাহান সরকার।

এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজানুর রহমান ডিপটি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছামছুল ইসলাম, সাবেক সড়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, জেলা বিএনপি নেতা ও শ্রমিক নেতা শহিদুল ইসলাম রাজা, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রউফ আন্জু প্রধান, মুকুল আহম্মেদ, শ্রমিকদলের আহবায়ক হযরত আলী, শ্রমিকদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল সরকার, আঞ্চলিক শাখা শ্রমিক নেতা মোকলেছুর রহমান, ইব্রাহিম খলিল মিঠু, আজাহার আলী, বুলেট, মাসুদ মিয়া, আব্দুল ওয়াহেদ, নুরুল ইসলাম, শাহ আলম সরকার, আয়নাল হক, মিজানুর রহমান নিক্সন, রবিউল ইসলাম লিয়াকত সহ বিভিন্ন শাখা সংগঠনের সভাপতি সম্পাদকসহ শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।

এ বিশেষ সাধারণ সভায় গাইবান্ধা জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং-৪৯৪ এর পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত করে সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ২৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এডহক কমিটি’র সভাপতি নির্বাচিত হয় আব্দুস সামাদ মন্ডল ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয় আব্দুল মোত্তালেব সরকার বকুল। এরপর ৫ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে।




সেনাবাহিনীর বিচারিক ক্ষমতা: অন্তবর্তীকালীন সরকারকে পুন:বিবেচনা করতে বললেন ফখরুল

আব্দুর রাজ্জাক বাপ্পী, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি: সেনাবাহিনীকে যে দুই মাসের জন্য বিচারিক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে সে বিষয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকারকে পুন:বিবেচনা করার অনুরোধ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার(১৯ সেপ্টেম্বর) ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবে জেলা বিএনপির আয়োজনে শেখ হাসিনা পতনের আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবারের সাথে স্বাক্ষাৎ ও সাহায্যকরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এ অনুরোধ করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, সেনাবাহিনীকে মেজিস্ট্রেরিয়াল পাওয়ার দেয়া হয়েছে(বিচারিক ক্ষমতা)। তার মানে এই যে প্রশাসন ল এন্ড অর্ডার মেইন্টেইন করতে পারছেনা। আমি মনে করে সেনাবাহিনীকে মেজিষ্ট্রেসি পাওয়ার সেই সব এলাকাতে দেয়া দরকার যেসব এলাকা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। কিন্তু যেসব এলাকা গুলো শান্তিপূর্ণ আছে, স্থানীয় রাজনীতিক নেতা কর্মীরা সমস্ত বিষয়গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করছেন সেই সব এলাকাতে মেজিষ্ট্রেসি পাওয়ার দিয়ে নতুন সমস্যা তৈরি করা সমুচিন হবেনা বুদ্ধিমানের কাজ হবেনা। আমি অন্তবর্তীকালীন সরকারকে অনুরোধ করবো তারা বিষয়টি পুন:বিবেচনায় নিবেন এবং তারা কখনোই এমন কোন ব্যবস্থা নিবেননা যা সামগ্রিক ভাবে দেশের মানুষের জন্য অসুবিধা হবে। আমি কথাটা স্পষ্ট করে বলছি কারন এটা বলা দায়িত্ব আমার।

তিনি আরও বলেন, আমরা ১৫-১৬ বছর ধরে ত্যাগ স্বীকার করছি, মার খাচ্ছি জেলে যাচ্ছি, শুধু মাত্র এ ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারকে সরিয়ে একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য। আমরা এখন সবাই আশাবাদী হয়ে উঠেছি নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যারা এই জঞ্জালকে দূর করে দেশে এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করবে এবং সকলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। সে নির্বাচনে জনগণের একটি পার্লামেন্টনতৈরি হবে।
সাংবাদিকদের মাধ্যমে অন্তবর্তীকালীন সরকারকে মির্জা ফখরুল আহ্বান করে বলেছেন, সব দিক বিবেচনা করে সত্যিকার অর্থে যেন একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র দেখতে পাই। গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত সরকার দেখতে পাই। মানুষের উপর যেন অন্যায় অত্যাচার না হয়। শুধমাত্র ক্ষমতায় থাকার জন্য আর যেন শিশুদের গুলি করে হত্যা না করা হয়। আমি জানি আমার কথা অনেকের মনমতো নাও হতে পারে। কিন্তু সত্য উচ্চারন করা আমার দায়িত্ব। তাই আমি উচ্চারন করে বলছি যে আপনারা সে কাজগুলো করেন যাতে একটা সংঘাতহীন ভবিষ্যত, সন্ত্রাসমুক্ত ভবিষ্যত এবং মানুষের অধিকার যুক্ত ভবিষ্যৎ আমরা দেখতে পারি।

আমরা বিশ্বাস করি রাজনৈতিক অবস্থায় ফিরে আসা, রাজনীতি বিদদের রাজনীতি কাজ করতে দেয়া একমাত্র সমস্যার সমাধান।

আন্দোলনে আহত ও নিহতদের স্বজনদের শেখ হাসিনার বিচার দাবির কথা শুনে মির্জা ফখরুল বলেন, এ অনুষ্ঠানটা আমার জন্য অনত্যন্ত হৃদয় বিদারক। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আন্দোলনে গিয়ে এখানে অনেকেই চোখ হারিয়েছেন, পা কেটে ফেলতে হয়েছে। অনেকে তাদের আপনজন হারিয়েছেন। আমরা ৭১ এ যুদ্ধ করেছিলাম বিদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সঙ্গে। কিন্তু ২০২৪ আমাদের যুদ্ধ করতে হয়েছে এ দেশের সরকারদলীয় লোকদের সাথে। তিনি বলেন আপনারা জানেন আমরাএকটি রাজনৈতিক দল। আমরা এখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় নাই। কিন্তু অন্তবর্তীকালীন সরকার সবার সম্মতিতে গঠিতনহয়েছে তারা চেষ্টা করছে অর্প সময়ের মদ্যে বিষয়গুলো বিচার করার। বিশেষ করে শেখ হাসিনা যার নির্দেশে অতিতে ও বর্তমানে এত খুন হয়েছে।

এসময় তিনি আন্দোলনে নিহত ও আহতদের তালিকা ও তাদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতের জন্য অন্তবর্তী কালীন সরকারের কাছে আহ্বান জানান এবং আহত ও নিহতদের পরিবারের মাঝে ১৫ লক্ষ্য নগদ অর্থ তুলে দেন।