ড. ইউনূসকে চিঠি: অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার জাতিসংঘ মহাসচিবের

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি চিঠিতে ড. ইউনূসের সরকারের সঙ্গে কাজ করাসহ বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে সমর্থন অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে জাতিসংঘ অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করেছেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। ৮ আগস্ট ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। ১৬ আগস্ট ড. ইউনূসকে চিঠি দেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

চিঠিতে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য আপনাকে আমার পক্ষ থেকে জানাই শুভেচ্ছা। আমি বাংলাদেশে শান্তি ফিরিয়ে আনা ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই।’

চিঠিতে আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘এই ক্রান্তিকালে সহিংসতার অবসান ঘটাতে, জবাবদিহি নিশ্চিত করতে, আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পথে এগিয়ে যেতে আপনার নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ হবে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘আমি আশা করি, আপনার সরকার একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পন্থা অবলম্বন করবে, যার মধ্যে তরুণ ও নারীদের পাশাপাশি সংখ্যালঘু, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সম্প্রদায়ের কণ্ঠস্বর অন্তর্ভুক্ত করা হবে।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘আমি সব নাগরিক ও বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের পূর্ণ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর আস্থা রাখছি।’

চিঠিতে বলা হয়, ‘আমি আপনাকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কল্যাণ নিশ্চিত করার জোরালোভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি, বিশেষ করে মিয়ানমারে অবনতিশীল পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ তার ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। জাতিসংঘ একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ গণতন্ত্রের প্রতি বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে পূর্ণ সমর্থন করে। অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে, বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিতে জাতিসংঘ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।




আজ বিএনপির সাবেক মহাসচিব ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম তালুকদারের ২৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী

হাফিজুর রহমান জামালপুর জেলা প্রতিনিধি:
ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম তালুকদার
(১৯৩৬-১৯৯৯)বাংলাদেশের একজন আইনজীবী ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ছিলেন।
১৯৩৬ সালের ৪ নভেম্বর জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি থানার মুলবাড়ি গ্রামে তাঁর জন্ম।তার পিতা রিয়াজউদ্দিন তালুকদার। আবদুস সালাম তালুকদারের শিক্ষা জীবন শুরু হয় ১৯৪২ সালে সরিষাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৮ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স এবং ১৯৫৯ সালে এম.এ পাস করেন। তিনি ১৯৬৮ সালে লন্ডনের লিংকনস্ ইন থেকে ব্যারিস্টার-অ্যাট-ল ডিগ্রি লাভ করে ১৯৭০ সালে আইন পেশায় নিয়োজিত হন।

১৯৭৬ সালে ডেমোক্রেটিক লীগে যোগদানের মাধ্যমে আবদুস সালাম তালুকদারের রাজনৈতিক জীবনের শুরু। পরে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে যোগ দেন। তিনি ১৯৭৯, ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৩৪তম অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৯৮১ সালে তিনি জিয়াউর রহমানের ক্যাবিনেটে আইন ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন। ঐ বছর কলমেতাতে অনুষ্ঠিত আফ্রো-এশিয়ান লিগাল কনসালটেটিভ কমিটির সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। ১৯৯১-১৯৯৬ সালে তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ছিলেন। তিনি জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন।

এছাড়া তিনি আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়, সংস্থাপন মন্ত্রণালয়, কার্যপ্রণালী বিধি ও কার্য উপদেষ্টা সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি এবং ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ ১৯৭৫ বাতিলকরণ সম্পর্কিত বিশেষ কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৮৫-১৯৯৬ সালে বিএনপি’র মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। তিনি ছিলেন চারদলীয় ঐক্যজোটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং সফলতার সাথে চারদলীয় লিঁয়াজো কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে রাজপথে ব্যারিষ্টার আব্দুস সালাম তালুকদার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

আজ ২০ আগষ্ট বৃহত্তর ময়মনসিংহের ক্ষণজন্মা পূরুষ,মহান জাতীয় নেতার ২৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী।
এ উপলক্ষে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের উদ্ধোগে কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।তার নিজ উপজেলা সরিষাবাড়ি তে আলোচনা ও স্মরণ সভা,দোওয়া মাহফিল এবং কাঙ্গালি ভোজের আয়োজন করা হয়েছে। কবর জিয়ারতের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হয়।
ব্যারিষ্টার আব্দুস সালাম তালুকদারের ভাতিজা জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম,মরহুমের পরিবারবর্গ এবং হাজার হাজার নেতাকর্মী এই মহান নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান।




গ্রেপ্তার দীপু মনিকে রাখা হয়েছে মিন্টু রোডে

রাজধানীর বারিধারা ডিওএইচএস এলাকা থেকে বিগত সরকারের সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল। সোমবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেপ্তারের পর বর্তমানে তাকে রাখা হয়েছে মিন্টো রোডে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মো. রবিউল হাসান ভূঁইয়া। গণমাধ্যমকে ডিবির কর্মকর্তা জানান, বারিধারা ডিওএইচ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বর্তমানে তাকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে চাঁদপুরে একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হতে পারে।

২০০৮ সাল থেকে চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন দীপু মনি। তিনি ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।

এরপর শিক্ষামন্ত্রী এবং পরবর্তীতে সমাজকল্যাণমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। দীপু মনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকও।

এর আগে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলককে গ্রেপ্তার করা হয়।




দুপুরের মধ্যে ৮ অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে

দেশের আট অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ক্সকবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্বদিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়ার আরেক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।