খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা: শেখ হাসিনাসহ ১১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কারওয়ান বাজারে ২০১৫ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় তেজগাঁও থানায় মামলা হয়েছ

রোববার (১৮ আগস্ট) সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ১১৩ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ২৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।




বানারীপাড়ায় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গৌরাঙ্গ পালের পরলোকগমণ

রাহাদ সুমন,বানারীপাড়া(বরিশাল(প্রতিনিধি
বরিশালের বানারীপাড়া বন্দর বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গৌরাঙ্গ পাল (৭০) রবিবার (১৮ আগস্ট) সকাল ৭ টা ৫ মিনিটে পৌর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়িতে পরলোক গমণ করেন। তিনি হার্টের রোগ ও স্ট্রোকজনিত কারণে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন।
এদিন দুপুরে বানারীপাড়া কেন্দ্রীয় সার্বজনীন হরিসভা মন্দির ও শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রক্ষ্মচারীর মন্দির আঙ্গিনায় তার মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে বানারীপাড়া কেন্দ্রীয় মহাশশ্মানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। প্রয়াণকালে তিনি ২ ছেলে ও ১ মেয়েসহ অসংখ্য শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।




রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫৯ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন শেখ হাসিনা

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫০০ কোটি ডলারের (৫৯ হাজার কোটি টাকা) বেশি আত্মসাৎ করেছেন বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই কাজে সহায়তা করেন তার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় ও ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক।

শনিবার (১৭ আগস্ট) গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করে হয়, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা রাশিয়ান রোসাটমের কাছ থেকে সোভিয়েত আমলের পারমাণবিক চুল্লি কিনতে ৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ আত্মসাৎ করেন। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণ ব্যয় ১২.৬৫ বিলিয়ন ডলার।

মালয়েশিয়ার ব্যাংকে রক্ষিত বিভিন্ন রাশিয়ান স্ল্যাশ ফান্ড থেকে এই ৫ বিলিয়ন ডলার বিভিন্ন ব্যাংকে স্থানান্তরে শেখ হাসিনাকে সহায়তা করেছিল প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা রোসাটম। যাতে মধ্যস্ততা করেন সজিব ওয়াজেদ জয় ও ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক।

দেশের সবচেয়ে বড় ও ব্যয়বহুল প্রকল্প রূপপুরের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। আশা করা হচ্ছে, এটি পুরোপুরি বাস্তবায়নের পর দেশের ২০ শতাংশ বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করবে। সম্প্রতি এ বিষয়ে নিজস্ব অনুসন্ধানের ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পোরেশন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রাশিয়ার সহযোগিতায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণে খরচ ধরা হয় ১ হাজার ২৬৫ কোটি ডলার। প্রয়োজনের তুলনায় যা অনেক বেশি। মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে এই বাজেট থেকে ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাতের সুযোগ করে দেয় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা-রোসাটম।

নিজের ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকের মধ্যস্থতায় রাশিয়ার সঙ্গে এ চুক্তি করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এ মধ্যস্থতার বিনিময়ে পাচার করা অর্থের ৩০ শতাংশ পেয়েছেন টিউলিপ, শেখ রেহানা ও পরিবারের কয়েকজন সদস্য।

২০১৩ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাতের সময় সঙ্গী ছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক। গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প বলছে, সে সময় ঢাকা-মস্কোর বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তির মধ্যস্থতাও করেন তিনি।

২০০৯ সালে ‘প্রচ্ছায়া লিমিটেড’ নামে একটি ভুয়া কোম্পানি চালু করেন টিউলিপ সিদ্দিক, তার মা শেখ রেহানা ও চাচা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক। যুক্তরাষ্ট্রেও ‘জুমানা ইনভেস্টমেন্ট’ নামে একটি কোম্পানি রয়েছে তাদের।

গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প বলছে, এই কোম্পানির মাধ্যমেই বিভিন্ন দেশের অফশোর অ্যাকাউন্টে অর্থপাচার করতেন শেখ হাসিনা। তাদের এ কোম্পানিটি ডেসটিনি গ্রুপ নামে একটি চিটিং ফান্ড কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হয়ে যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার পাচার করেছে।

গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের প্রতিবেদন আরও বলছে, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে গণতন্ত্র ক্রমেই দুর্নীতিতে জর্জরিত স্বৈরাচারের কবলে পড়ে জিম্মি হয়ে যায়। ২০১৮ সালের ২৩ মার্চ প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে জার্মান থিংকট্যাংক বেরটেলসম্যান স্টিফটুং বাংলাদেশকে ‘স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠী’র তালিকায় তালিকাভুক্ত করে। স্বৈরাচারী শাসকদের কঠোর হস্তক্ষেপের কারণে বিচারবিভাগসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিছক হাতের পুতুল হয়ে যায়।

২০১৫ সালে যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির টিউলিপ সিদ্দিক যখন নির্বাচনে জয়ী হন, তখন তার খালা শেখ হাসিনা গর্বের সাথে দেশের সংসদে বলেছিলেন- কীভাবে তার ভাতিজি পশ্চিমা প্রতিদ্বন্দ্বীদের পরাজিত করে নির্বাচনে জয়ী হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সংসদে উল্লেখ করেন, তার ছোট বোন শেখ রেহানা (টিউলিপের মা) একজন ব্রিটিশ নাগরিক, যিনি যুক্তরাজ্যে থাকেন এবং আর্থিক কষ্টে ভুগছেন। ব্যক্তিগত গাড়ি কেনার সামর্থ্য না থাকায় শেখ রেহানা বাসে করে কর্মস্থলে যান।

টিউলিপ সিদ্দিক রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি চূড়ান্ত করার আগে লন্ডনে শেখ হাসিনার কাছে রোসাটম থেকে ঘুষের আলোচনার সুবিধার্থে ছিলেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, টিউলিপ বিনামূল্যে এই সেবা দেয়নি! ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে মা শেখ রেহানা এবং বাংলাদেশের শাসক পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য রাশিয়ানদের কাছ থেকে ৩০ শতাংশ ‘ঘুষ’ পেয়েছেন এবং পুরো অর্থ গোপনে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন অফশোর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প নামে পোর্টালটি ২০১৮ সালে চালু হয়। বিভিন্ন দেশের সামরিক ও প্রতিরক্ষাখাতে দুর্নীতির অনুসন্ধান করে থাকে তারা। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে প্রতিবেদনে প্রকল্পের পূর্বের দুর্নীতি সংশ্লিষ্ট তথ্যও উঠে এসেছে।